ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

হাড় ক্ষয় একটি নীরব ঘাতক

হাড় ক্ষয় একটি নীরব ঘাতক

অষ্টিওপোরোসিস বা অস্থি ক্ষয় বা হাড়ের ক্ষয় রোগ এমন একটি অসুখ যার ফলে হারের ঘনত্ত নির্দিষ্ট মাত্রায় কমে যাওয়ায় হাড় দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে যায়। ২০ থেকে ৩৫ বছর হাড় তার পূর্ণতা লাভ করে, তারপর ৪০ বছরের পর থেকে হাড় তার ক্যালসিয়াম ও ফসফেট হারাতে থাকে, এর ফলে হাড়ের পরিবর্তন হয়, দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে যায়। ৫০ বছর বয়সে ১৫ ভাগ এবং ৭০-৮০ বছর বয়সে ৩০ ভাগ মহিলার হিপ বোন বা নিতম্বের হাড় ভেঙ্গে যায়। তবে পরিসংখ্যানে দেখা গেছে সারা বিশ্বে ৫০ বছরের অধিক বয়সের প্রতি তিনজন মহিলার মধ্যে একজন এবং প্রতি পাঁচজন পুরুষের একজন অষ্টিওপোরোসিস বা হাড়ের ক্ষয় রোগ হয়।

কাদের অষ্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বেশি: বর্তমানে অষ্টিওপোরোসিস বা হাড়ের ক্ষয় রোগ সারা বিশ্বব্যাপী বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে হুমকির সম্মুখীন করে দিয়েছে

অষ্টিওপোরোসিসের ঝুঁকিপূর্ণরা হলেন: মনোপজ বা ঋতুস্রাব বন্ধ-পরবর্তী মহিলারা, এশীয় বা ককেশীয়ানরা, যাদের পরিবারের কারো অষ্টিওপোরোসিস আছে, যারা পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি গ্রহণ করেন না, যারা ব্যায়াম করেন না, যাদের ওজন কম, ধূমপায়ীরা ও এলকোহল পানকারীরা, কিছু অসুখ অষ্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়: রিউমাটয়েড আরথ্রাইটিস, যাদের শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা কম, যাদের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কম, যাদের শরীরে থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেশি, যাদের শরীরে প্যারাথাইরয়েড হরমোনের মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেশি, যে সব রোগে অনেক দিন শুয়ে থাকতে হয়।

অস্টিওপোরোসিস নির্ণয়ের পরীক্ষা: অস্টিওপোরোসিস বা হাড়ের ক্ষয় ও দুর্বল রোগ সহজেই নির্ণয় করা যায়। ক্লিনিক্যাল উপসর্গ এবং স্বাভাবিক পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে ডাক্তার আপনার শারীরিক বিভিন্ন ক্লিনিক্যাল উপসর্গ পর্যবেক্ষণ এবং পূর্ববর্তী রোগ ও ওষুধ গ্রহণের ইতিহাস এবং বিভিন্ন ঝুঁকি পর্যবেক্ষণ করে আপনার অস্টিওপোরোসিস আছে কি না নির্ণয় করতে পারেন।

হাড়ের এক্স-রে: ডাক্তার আপনার শরীরের হাড়ের এক্স-রে করে তাদের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে তারা আপনার হাড়ের ঘনত্ব বুঝতে পারেন। অস্টিওপোরোসিসের চিকিৎসা কি: অস্টিওপোরোসিসের চিকিৎসার মূল উদ্দেশ্য হলো আপনার হাড়কে শক্তিশালী করে তোলা, হাড়ের ক্ষয়ের হার কমানো ও সর্বোপরী হাড় ভাঙার ঝুঁকি কমানো। অস্টিওপোরোসিসের চিকিৎসায় যেসব ওষুধ ব্যবহার হয়, তার মধ্য উল্লেখযোগ্য এলেন্ড্রনেট সোডিয়াম, রিসড্রনেট সোডিয়াম, ইবান্ড্রনিক এসিড, সিলেক্টিভ ইস্ট্রজেন রিসেপ্টর মডুলেটর প্যারাথাইরয়েড হরমোন চিকিৎসা, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট, হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি ইত্যাদি, তবে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম করুন অস্টিওপোরোসিস মুক্ত থাকুন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত