আমাদের হৃদস্পন্দন বা হার্টবিটের একটি নির্দিষ্ট ছন্দ আছে। ঘড়ির সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই হার্টবিট চলে। একজন সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষের হার্টবিট মিনিটে ৬০-১০০ এর মধ্যে থাকে। এই মাত্রার হেরফের হলে দেখা দেয় অনিয়মিত হৃদস্পন্দের সমস্যা। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে কার্ডিয়াক অ্যারিদমিয়া বলে।
অতিরিক্ত কায়িক পরিশ্রম করলে কিংবা ভারী জিনিস নাড়াচাড়া করলে হাঁপিয়ে যাওয়া কিংবা বুক ধড়ফড় করা সমস্যা হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু কোনো কারণ ছাড়াই যদি প্রায় দিনই বুক ধড়ফড় করে, তবে এর সঙ্গে গুরুতর কোনো শারীরিক সমস্যার সংযোগ থাকতে পারেন। হৃদযন্ত্র ছন্দময় গতিতে স্পন্দিত হয় সারাক্ষণ। এই স্পন্দন আমরা সাধারণত টের পাই না। কিন্তু কেউ যদি স্পষ্টভাবে এই স্পন্দন টের পায় তখন একে প্যালপিটেশন বা বুক ধড়ফড় করছে বলা হয়।
বুক ধড়ফড় করে কেন? নানা কারণেই বুক ধড়ফড় করতে পারে। এটা ঠিক যে বুক ধড়ফড় করা অর্থাৎ হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হৃদরোগ। বে বুক ধড়ফড় করা মানেই যে হৃদরোগ, তাও সব সময় ঠিক নয়। চিকিৎসকদের মতে থাইরয়েডের সমস্যা, ডায়াবেটিক রোগীর রক্তে শর্করা কমে যাওয়া, যেকোনো ধরনের ভয়, রক্তশূন্যতা, শারীরিক দুর্বলতা, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, নেশাজাতীয় দ্রব্য গ্রহণ ইত্যাদি কারণে এই সমস্যা হতে পারে। আবার অ্যামলোডিপিন, অ্যামিট্রিপটাইলিন, থাইরক্সিন ইত্যাদি ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণেও বুক ধড়ফড় করে।
বুক ধড়ফড় কমাতে করণীয় : চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়া এবং জীবনযাপনে কিছু পরিবর্তন আনার মাধ্যমে এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে। চলুন জেনে নিই বিস্তারিত-
ওজন নিয়ন্ত্রণ : বয়স ও শরীরের উচ্চতা অনুযায়ী দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। অনেকসময় ওজন বেশি হলেও বুক ধড়ফড়ানির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। বাড়তি ওজন থাকলে রক্তে কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিসের মতো সমস্যাও বৃদ্ধি পেতে পারে।