ডায়েট করতে গেলে ওটস খেতেই হবে এমন কোনো কথা নেই। ইদানিং দেখা যায় অনেকের কাছেই ওটস খুব পছন্দনীয়। কিন্তু সবার কাছেই খুব পছন্দনীয় হবে সেটা কিন্তু না। কারণ ওটসের নিজস্ব একটা গন্ধ আছে। আজকাল যদিও বিভিন্ন ফ্লেভারড ওটস পাওয়া যায়; কিন্তু এটা সবাই নিতে পারে না। ফলে কেউ যখন আমাদের কাছে যখন আসে এবং বলে যে আমি এটা খেতে পারি না, ডায়েটিশিয়ান বা পুষ্টিবিদ হিসেবে তাকে; কিন্তু আমি জোর করে সেটা দিতে পারি না। সেক্ষেত্রে তাকে বিকল্প খুঁজে দিতে হবে। হতে পারে যে উনি হয়তো ওজন কমাতে চাচ্ছেন। কিন্তু ওজন কমানো মানে এই না যে আমরা চাপ দিয়ে বলব যে খাবারটাই আপনাকে খেতে হবে।
ওটস যেভাবে খাবেন : বিভিন্নভাবে ওটস খাওয়া যায়। শুধু দুধের মাধ্যমে খেতে হবে তাও না। যেমন বিভিন্ন ধরনের সবজির মিক্স ওটসের খিচুড়ি করা যেতে পারে। আবার ফলমূল দিয়ে খেতে পারেন। সেখানে আবার বাদাম মিশিয়েও খেতে পারবেন। ওটসের কাটলেট বানিয়েও খেতে পারেন। যাদের গ্লুটেনের সমস্যা থাকে তারা কোন নির্দ্বিধায় ওটসটা খেতে পারবেন। আর ওটসের পুষ্টিগুণ বা ক্যালোরি ভাতের মতোই। কিন্তু এতে ফাইবার বেশি থাকে। অল্প প্রোটিন আছে, কিছু ফ্যাট থাকে। ফলে ওটসে পুষ্টিগুণ বেশি। বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে আমরা ওটসের কথা যদি বলি, তাহলে ওটস হচ্ছে ওজন কমাতে সাহায্য করে, টাইপ টু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে, সেই সঙ্গে কলেস্ট্রোরেল কমাতে সাহায্য করে এইভাবে অনেক ধরনের হেলথ বেনেফিটস অনেক বেশি।