শীত মানেই বাজারে সয়লাব ফুলকপি। যদিও এখন সারা বছরই টুকটাক এই সবজির দেখা মেলে। তবে শীতকালীন তথা মৌসুমি ফুলকপি অনন্য। আর রান্নায় ফুলকপি মানেই স্বাদে নতুন মাত্রা। মাছ রান্নায় কয়েক টুকরো ফুলকপি মিলিয়ে বানানো তরকারি কে না খেতে চায়? অনেকের তো শীতকালে ঘুম থেকেই উঠেই ব্রেকফাস্টে রুটির সঙ্গে ফুলকপি ভাজি চাই-ই চাই। ফুলকপি শুধু স্বাদের জন্যই নয়, এর রয়েছে অনেক গুণ! পুষ্টিবিজ্ঞানীরা বলছেন, ফুলকপিতে থাকা সালফার সুস্বাস্থ্য ধরে রাখার জন্য উপকারী। যকৃৎ থেকে ক্ষতিকর বিষাক্ত উপাদান দূর করে ফুলকপির জুড়ি নেই। এছাড়াও ফুলকপির রয়েছে আরও বিশেষ গুণ। চলুন জেনে নিই ফুলকপির যত গুণ-
১. কোলেস্টরল কমায়: এতে প্রচুর ফাইবার আছে, যা শরীরে কোলস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
২. ওজন কমাতে: গবেষণায় দেখা গেছে, ফুলকপি মস্তিষ্ক ভালো রাখে, ওজন কমায় এবং সর্দি-কাশিসহ নানা রোগ প্রতিরোধ করে।
৩. হাড় ও দাঁত শক্ত করে: ফুলকপিতে রয়েছে দাঁত ও মাড়ির উপকারী ক্যালসিয়াম ও ফ্লোরাইড। এর ক্যালসিয়াম হাড় শক্ত করে।
৪. ক্যান্সার প্রতিরোধ করে: মারাত্মক ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে ফুলকপি। এতে আছে সালফোরাপেন, যা ক্যান্সার কোষকে মেরে টিউমার বাড়তে দেয় না। স্তন ক্যান্সার, কোলন ও মূত্রথলির ক্যান্সারের জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়ার ক্ষমতাও আছে ফুলকপির।
৫. হৃদ্যন্ত্রের জন্য উপকারী: ফুলকপি হৃদ্যন্ত্রের জন্য ভালো। এতে যে সালফোরাপেন আছে, তা হৃদ্রোগের বিরুদ্ধে লড়তে পারে।
৬. রোগ প্রতিরোধ করে: ফুলকপিতে আছে ভিটামিন ‘বি’, ‘সি’ ও ‘কে’, যা এ সময়ের সর্দি, ঠান্ডা, কাশি জ্বর ভাব, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, গা-ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া ফুলকপির আরও সব প্রয়োজনীয় উপাদান রোগ প্রতিরোধেও অংশ নেয়।
৭. শক্তি জোগায়: এই সবজিতে আছে প্রচুর আয়রন। রক্ত তৈরিতে আয়রন রাখে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। গর্ভবতী মা ও অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম করা মানুষের জন্য ফুলকপি অত্যন্ত জরুরি।
৮. চুল ও ত্বকের জন্য উপকারী: কম ক্যালরিযুক্ত ও উচ্চমাত্রার আঁশসমৃদ্ধ ফুলকপি চুল ভালো রাখে। ত্বকের সংক্রমণও প্রতিরোধ করে।
৯. পরিপাকতন্ত্র ভালো রাখে: ফুলকপি পরিপাকতন্ত্রকে ভালো রাখতে সাহায্য করে।
১০. দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়: চোখের যত্নে ফুলকপির কোনো তুলনা হয় না। ফুলকপিতে থাকা ভিটামিন ‘এ’ চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। চোখ সুস্থ রাখতে বেশি করে ফুলকপি খাওয়া উচিত।