ফার্স্টক্লাস প্রোটিন জাতীয় খাদ্যের মধ্যে ডিম একটি অন্যতম খাবার। এতে থাকা ওমেগা থ্রি মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী। ডিম খাওয়ার জন্য সবাই সকালটাকেই বেছে নেন। আবার অনেকে ভাবেন রাতে ডিম খাওয়া কী স্বাস্থ্যকর? জানা যায়, রাতে ডিম খেলে কোনো সমস্যা নেই। রাতে ডিম খাওয়ার বেশ উপকারিতাও রয়েছে। ১. ডিমে প্রচুর ট্রিপটোফেন থাকে, যা মানসিক চাপ কমাতে ভূমিকা রাখে। ট্রিপটোফেন মন শান্ত করে এবং শরীরে হরমোনের ব্যাঘাত কমায়। এ কারণে রাতে ডিম খেলে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। ২. ডিম মেলাটোনিনের বড় উৎস। ভালো ঘুমের জন্য বেশ সহায়ক। মেলাটোনিনের বড় ভূমিকা রয়েছে এতে। এটি স্নায়ু কোষের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে এবং শরীরকে ঘুমাতে যাওয়ার সংকেত দেয়। মেলাটোনিন হলো এমন এক হরমোন যা শরীরের ঘড়ি সেট করে এবং ঘুম ভালো হতে বড় ভূমিকা রাখে। ৩. ডিম হাড় এবং মস্তিষ্কের কোষগুলোর কার্যকারিতা উন্নত করে। রাতে ডিম খেলে তা শরীরে ভালো কোলেস্টেরল জমা হয় এবং সকালে সূর্যের সংস্পর্শে আসার সাথে সাথে শরীর তা থেকে ভিটামিন ডি তৈরি করতে শুরু করে।
৪. রাতে ডিম খাওয়া ওজন কমাতে দুভাবে কাজ করে। প্রথমত, এটি পাকস্থলীর গতি বাড়ায় এবং দ্বিতীয়ত, এর প্রোটিন দীর্ঘক্ষণ শরীরকে পরিপূর্ণ রাখে। ফলে রাতে বেশি খাওয়ার প্রবণতা কমে। এ ছাড়াও ডিম পেশিকে শক্তিশালী করে, হরমোনের কার্যকারিতার ভারসাম্য বজায় রাখে এবং শরীরের ওজন কমাতেও সাহায্য করে। বিবিসির প্রতিবেদন থেকে আরো জানা যায়, এখন বেশিরভাগ ডাক্তারই স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায় ডিম রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন। তারা বলছেন, বেশিরভাগ পুষ্টিকর উপাদান প্রাকৃতিকভাবে যেসব খাবারে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় তার মধ্যে অন্যতম হলো ডিম। যেমন- ডিমে আছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, ভিটামিন এ, ডি, বি এবং বি-টুয়েলভ।
এ ছাড়াও ডিমে আছে লুটেইন ও জিয়াস্যানথিন নামে দুটি প্রয়োজনীয় উপাদান, যা বৃদ্ধ বয়সে চোখের ক্ষতি ঠেকাতে সাহায্য করে।