ঢাকা ১১ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

দ্রুত ওজন কমাতে করণীয়

দ্রুত ওজন কমাতে করণীয়

শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকারক বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। আবার অনেক রকম রোগেরও লক্ষণ ওজন বেড়ে যাওয়া। তাই শরীরে ওজন বাড়তে দেখলেই অবিলম্বে কমিয়ে ফেলতে হবে। আরো ভালো শরীরের ওজন বৃদ্ধি হতে না দেওয়া। অনেক মানুষে মেটাবলিজম কম থাকে, ফলে তারা পানি খেয়েও মোটা হন। কেউ রোজ কব্জি ডুবিয়ে খেয়েও ওজন বাড়ে না, কারণ তাদের মেটাবলিজম বেশি। কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস অনেকদিন ধরে অনুসরণ করা খুবই কঠিন। আবার ব্যায়াম করার সময় বের করাটাও সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। ডায়েট প্ল্যান ছাড়াও সঠিক নিয়মে খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে ওজন কমানো যেতে পারে। সকালের চা থেকে রাতের খাবার পর্যন্ত, কম করে বার ছয়েক খান। এতে বিপাক ক্রিয়া সচল থাকে, বাড়াবাড়ি খিদে পায় না বলে বেশি খেয়ে ফেলার আশঙ্কা কমে। এর পাশাপাশি শরীরের নিজস্ব কাজকর্ম চালাতে যতটুকু ক্যালোরি লাগে (মাঝবয়সি মহিলাদের মোটামুটি ১২০০-১৩০০ ক্যালোরি, পুরুষদের ১৪০০-১৫০০ ক্যালোরি) সেটুকু অবশ্যই খান। কায়িক পরিশ্রম বা ব্যায়ামের অভ্যাস থাকলে ১৬০০, ১৮০০, এমনকি ২০০০ ক্যালোরিও খেতে হতে পারে। খেয়াল রাখবেন এই ক্যালোরির প্রায় সবটাই যেন স্বাস্থ্যকর খাবার থেকে আসে। প্রোটিনসমৃদ্ধ সুষম খাবার দিয়ে দিন শুরু করুন। না হলে ওজন বাড়ার আশঙ্কা প্রায় সাড়ে চার গুণ হয়ে যায়। পরের খাবারগুলোও যেন প্রোটিনে ভরপুর থাকে। এতে যেমন পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে, প্রোটিনের গুণে শরীরের ক্যালোরি খরচও বেড়ে যায় প্রায় ৩৫ শতাংশ। চিনি ছাড়া কালো চা বা কফি খান দিনে দুতিন বার। কফির ক্যাফেইনের প্রভাবে ৫-৮ শতাংশের মতো বিপাক ক্রিয়া বাড়ে। ৯৮-১৭৪ ক্যালোরি বেশি খরচ হয়। চায়ে বিপাক ক্রিয়া বাড়ে প্রায় ১২ শতাংশ। গ্রিন টি আরো ভালো। ওজন নিয়ে ব্যায়াম করার সঙ্গে খেলে চর্বি বেশি পোড়ে। ফল ও নানা রকম শাক-সবজি খান দিনে ৩ রকম। অন্যান্য পুষ্টির পাশাপাশি ২৫-৩০ গ্রামের মতো ফাইবার পাবেন। আর তাতে প্রায় ৩০ শতাংশের মতো চর্বি কমবে। ঠান্ডা পানি খান দিনে কম করে ৬ কাপ। ৫০ ক্যালোরির মতো বেশি খরচ হবে। অর্গ্যানোক্লোরিন মেশানো কীটনাশক চর্বিকোষে সঞ্চিত হয়ে চর্বি গলানোর হার ধীর করে দেয়। বেশি তেলেভাজা জিনিস যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা। বাইরের খাবার না খাওয়া। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়া।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত