বয়স বাড়লে দেখা দেয় হাঁটু ব্যথা, কোমর ব্যথার মতো নানা সমস্যা। এমনটাই এতদিন মনে করা হতো। তবে বর্তমানে কম বয়সেই অনেকে ব্যথা-যন্ত্রণায় ভোগেন। দীর্ঘ সময় বসে কাজ করা, শরীরচর্চার অভাব, কম্পিউটারে দীর্ঘসময় কাজ করা ইত্যাদি কারণে বাড়ছে পিঠ, কোমর, হাঁটুতে ব্যথা। ব্যথা কষ্টদায়ক হলেও হাঁটুতে ব্যথা করলেই যে চিকিৎসকের কাছে ছুটতে হবে, তা নয়। আবার সবসময় যে ব্যথার ওষুধ খেতে হবে তারও কোনো প্রয়োজন নেই। এতে অন্য শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তারচেয়ে বরং কিছু ঘরোয়া উপায়ে ব্যথা কমানোর চেষ্টা করতে পারেন। চলুন জানা যাক বিস্তারিত-
ব্যথার কারণ খুঁজুন : ব্যথা হচ্ছে মানেই আর্থ্রাইটিসে ভুগছেন এমনটা কিন্তু নয়। তাই সমাধানের আগে সমস্যা ঠিকমতো বুঝতে হবে। কেন ব্যথা হচ্ছে সেটি জানতে হবে। কোনো চোটের কারণে ব্যথা হচ্ছে না কি আর্থ্রাইটিস তা জানুন। সমস্যা অনুযায়ী সমাধানের পথ খুঁজুন।
সেঁক দিন : যে কারণেই হাঁটুতে ব্যথা হোক না কেন, সেঁক দিলে মিলবে স্বস্তি। অনেকেই ঠান্ডা সেঁক দেন। কিন্তু ত্বকে সরাসরি বরফ না লাগানোই ভালো। তার বদলে আইসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। সবচেয়ে ভালো হয় গরম সেঁক দিলে।
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার : হাঁটুর ব্যথা কমাতে উপকারি ভূমিকা রাখে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার। এক কাপ উষ্ণ পানিতে দুই চামচ ভিনিগার আর কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে নিন। এই পানীয় ৩-৪ বার খেতে পারেন। ব্যথা কমবে।
মেথি: যেকোনো ব্যথা কমাতে মেথির জুড়ি মেলা ভার। এতে আছে উচ্চমাত্রার অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। গাঁটের ব্যথায় কষ্ট পেলে প্রতিদিন নিয়ম করে উষ্ণ পানিতে মেথি ভিজিয়ে খেতে পারেন। কিংবা সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রাখা মেথি সকালে খেতে পারেন। উপকার মিলবে।
লেবু ও গাজরের রস : গাঁটের ব্যথা দূর করতে ওষুধের মতো কাজ করে লেবু আর গাজর। গাজরের রস করে তাতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে খালি পেটে খান। নিয়মিত এই পানীয় খেলে ব্যথা-বেদনা কমে যাবে। ঘরোয়া এই উপায়গুলো কাজে লাগিয়েও যদি গাঁটের ব্যথা বিশেষত হাঁটুর ব্যথা না কমে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।