শীত আসতেই কমবেশি সবাই সর্দি-কাশি ও জ্বরের সমসস্যায় ভুগছেন। একই সঙ্গে নাক বন্ধের সমস্যা তো আছেই। সবচেয়ে বেশি অস্বস্তি হয় এটা নিয়েই। নাক বন্ধ হয়ে গেলে কোনো কাজেই মন বসে না। শ্বাস নিতেও সমস্যা হয়। মাথা ভার হয়ে থাকে সারাক্ষণ। বন্ধ নাক খোলার জন্য অনেকেই নানা রকম ড্রপ ব্যবহার করেন। এতে করে যে সব সময় সুফল পাওয়া যায়, তা নয়। চিকিৎসকদের মতে, প্রতিদিন নাকের ড্রপ ব্যবহার করলে তা অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। তখন আর নাকের ড্রপ না নিলে ঘুম আসতে চায় না। তার চেয়ে বরং বন্ধ নাক খোলার জন্য ঘরোয়া উপায় প্রয়োগ করা যেতে পারে। দেখে নিন এমনই কয়েকটি ঘরোয়া উপায়, যেগুলো নাকের বন্ধভাব কাটাতে সাহায্য করে-
জোয়ান: মাঝারি আঁচে ফ্রাই প্যান গরম করে এক মুঠো জোয়ান শুকনো প্যানে ভাজতে থাকুন। জোয়ানোর রং গাঢ? হলে ও সুগন্ধ বের হলে নামিয়ে নিন। একটি পরিষ্কার কাপড়ে এই ভাজা জোয়ান বেঁধে নাকের কাছে ধরে রাখুন। ধীরে ধীরে শ্বাস নিন, যাতে এর গরম ভাপটা নাকের ভেতরে পৌঁছায়।
ইউক্যালিপটাস তেল: বন্ধ নাক খুলতে কাজে লাগাতে পারেন ইউক্যালিপটাস অয়েল। একটি বড় পাত্রে পানি ফুটিয়ে নিন ভালোভাবে। তারপর গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল মিশিয়ে সেই ভাপ নিন। মাথার উপর থেকে তোয়ালে ঢাকা দিয়ে গরম পানিতে উঠতে থাকা ধূমায়িত বাষ্প নাক-মুখ দিয়ে টানতে থাকুন। নাক দিয়ে শ্বাস নিন ও মুখ দিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। ভাপ নেওয়ার সময় চোখ অবশ্যই বন্ধ রাখুন।
আদা-পুদিনার চা: এক কাপ পানিতে আদা ছেঁচে দিয়ে ফুটিয়ে নিন ৫ মিনিট। চা ছেঁকে নিয়ে তাতে কয়েকটা তাজা পুদিনা পাতা দিন। ঈষদুষ্ণ অবস্থায় পান করুন। এতে আরাম পাবেন।
রসুন পানি: এক কাপ পানিতে ২-৩ কোয়া রসুন আর আধ চামচ হলুদ গুঁড়া দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এই পানি ছেঁকে পান করলে নাক পরিষ্কার হয়ে যাবে। সকালে খালি পেটে কাঁচা রসুন চিবিয়ে খেলেও উপকার পাওয়া যাবে।
গোলমরিচ: হাতের তালুতে অল্প একটু গোলমরিচ গুঁড়া ও সামান্য সরিষার তেল দিন। আঙুলে এই মিশ্রণ লাগিয়ে নাকের কাছে ধরতেই হাঁচি হবে। একই সঙ্গে নাক পরিষ্কার হয়ে যাবে। সরিষার তেল নাকে দিয়ে টানলেও বন্ধ নাক খুলে যায় ও নাক পরিষ্কার হয়।
গরম পানিতে গোসল: নিয়মিত গরম পানিতে গোসল করলে বন্ধ নাক খুলে যায়। এর পাশাপাশি, যতটা সম্ভব গরম পানীয় খেতে হবে। যদি দীর্ঘদিন এ সমস্যায় ভোগেন ও ঘরোয়া উপায়েও স্বস্তি না পান, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।