চিনি খাওয়া : অতিরিক্ত চিনি খাওয়া মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর। এছাড়া বার্গার, ভাজাপোড়া, আলুর চিপস বা কোমল পানীয়ের মতো খাবার স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার জন্য কারণ হতে পারে।
উচ্চশব্দে গান শোনা : হেডফোনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা উচ্চস্বরে গান শোনা মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর। দীর্ঘদিনের এই অভ্যাসের কারণে শ্রবণশক্তি সম্পূর্ণরূপে লোপ পেতে পারে। শ্রবণশক্তি লোপ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কের টিস্যু নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এর প্রভাব স্মৃতিশক্তির ওপরেও পড়তে পারে।
অতিরিক্ত স্ক্রিন আসক্তি : অনেকের দিনের বেশিরভাগ সময় কাটে ফোন কিংবা কম্পিউটারের স্ক্রিনে তাকিয়ে থেকে। অফিসের কাজে বা অবসরে বিনোদনের জন্য কিংবা প্রয়োজন বা অপ্রয়োজনে স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকি। এতে করে চোখের ক্ষতি তো হচ্ছেই, সঙ্গে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতাও কমে যাচ্ছে। স্ক্রিন টাইম যত বেশি হবে, ততই আমরা চুপচাপ থাকি এবং অন্য কাজে মনোযোগ কম দেই। ফলে মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে অচল হয়ে পড়ে।
একা থাকার অভ্যাস : আমাদের ফেসবুকে বন্ধুসংখ্যা এখন হাজার হাজার হলেও জীবনের সব সমস্যা ভাগ করে নেওয়ার জন্য বন্ধুর বড় অভাব। অনেকে এমন আছেন, যারা কোনো অনুষ্ঠান কিংবা আত্মীয়ের বাসায় যেতে চান না। পারিবারিক অনুষ্ঠান কিংবা অফিস পার্টি সব কিছুই এড়িয়ে চলেন। এর প্রভাবও পড়ে মস্তিষ্কের ওপর। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যারা কাছের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেন, তারা অন্যদের তুলনায় হাসিখুশি ও কর্মদক্ষ হন। তাদের স্মৃতিশক্তিও অন্যদের তুলনায় বেশি হয়।
অপর্যাপ্ত ঘুম : রাত জেগে কাজ করা কিংবা নাটক সিনেমা দেখার অভ্যাস আছে অনেকের। তাছাড়া অনেকে রাত জেগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক সময় ব্যয় করেন। ফলে ঘুম ঠিকঠাক হয় না। মস্তিষ্ককে সঠিকভাবে চালানোর জন্য প্রতিদিন সাত থেকে আট ঘণ্টার ঘুম প্রয়োজন। ঘুমের অভাব প্রভাব ফেলে স্মৃতিশক্তির ওপর।