মেছতা দূর করতে যা জানা জরুরি

প্রকাশ : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ডা. জাহেদ পারভেজ

মেছতা বা মেলাসমা একধরনের চর্মরোগ। মেছতা হলে মুখ, থুতনি, কপালে ও গালে হালকা বাদামি, কালো বা লালচে ছোপ দেখা যায়। নারীদের রোগটি বেশি হয়। বিশেষ করে চল্লিশোর্ধ্ব নারীরা মেছতায় বেশি আক্রান্ত হন। মুখ ছাড়াও কারও কারও চিবুক ও বাহুর উপরিভাগেও মেছতার কালো ছোপ পড়তে পারে।

মূলত ত্বকের রঞ্জক পদার্থ মেলানিনের পরিমাণ বেড়ে যাওয়াই এর কারণ। দিন যত যায়, তত গাঢ় হয় এই রং, তার সঙ্গে বাড়ে রোগীর দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ।

চল্লিশোর্ধ্ব নারীরা মেছতায় বেশি আক্রান্ত হন, কেন হয়?

গর্ভধারণের সময় হরমোনের প্রভাবে অনেক সময় মুখে মেছতা দেখা দিতে পারে। এ জন্য রোগটিকে অনেকে বলেন, ‘মাস্ক অব প্রেগনেন্সি’। এ ছাড়া বংশগতির প্রভাব, অতিরিক্ত সূর্যালোক, জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। হরমোনের সমস্যা, যেমন থাইরয়েড বা ডিম্বাশয়ের সমস্যায় এটা হতে পারে। মেনোপজের পর এটি বেশি হতে দেখা যায়, তার পেছনেও হরমোনের কারণই দায়ী। আবার অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহারের কারণে মেছতা হতে পারে, ডাক্তারি ভাষায় একে বলে ‘মেলাজমা কসমেটিকা’। যকৃতের জটিলতার কারণে যে মেছতা হয়, তাকে বলা হয় ‘মেলাজমা হেপাটিকা’।

যেভাবে বুঝবেন : ত্বকের কালো রঙের জন্য দায়ী যে রঞ্জক, সেই মেলানিনের পরিমাণ এতে বেড়ে যায়। ফলে রঙের পরিবর্তনই কেবল চোখে পড়ে, চুলকানি বা ব্যথা কিছু হয় না। তিলজাতীয় লিভাস নোটা, লিভাস আইটো দেখতে প্রায় একই রকম হলেও আসলে কিন্তু মেছতা নয়।

এগুলো সাধারণত এক পাশে হয়ে থাকে কিন্তু মেছতা দুই পাশেই হয়। চিকিৎসক কেবল দেখেই মেছতা শনাক্ত করতে পারেন। তবে সাহায্য নেওয়া যায় উডস ল্যাম্পের (ত্বকের পরীক্ষা)।

চিকিৎসা : বর্তমানে কেমিক্যাল পিলিং, মাইক্রোডার্মাব্রেশন ও পিআরপি থেরাপির মাধ্যমে মেছতার চিকিৎসা করা হচ্ছে। কিছু আধুনিক মলম ও মুখে খাওয়া ট্যাবলেটও মেছতা চিকিৎসায় কার্যকর। মেছতা সাধারণত দুই ধরনের- এপিডারমাল মেলাজমা ও ডারমাল মেলাজমা। ত্বকের ওপরের অংশে যে মেছতা হয়, তাকে বলে এপিডারমাল মেলাজমা। আর ডারমাল মেলাজমা হয় ত্বকের ভেতরের অংশে। এপিডারমাল মেলাজমার চিকিৎসা সহজ, তবে ডারমাল মেলাজমার চিকিৎসা একটু জটিল।

 

চেম্বার : ডাঃ জায়েদ হেয়ার অ্যান্ড স্কিন ক্লিনিক

১৫২/১এইচ সাবামুন টাওয়ার, ৬ তলা গ্রীন রোড, পান্থপথ, ঢাকা।