দাঁত শিরশির?
প্রকাশ : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক
আপনি কি কখনো অনুভব করেছেন যে আপনি আইসক্রিম খেতে পারছেন না, মিষ্টি খেলে দাঁত শিরশির করছে, টক জিনিস খেলে অল্পতেই দাঁত টক হয়ে যাচ্ছে, কিংবা শীতের সকালে ঠান্ডা বাতাস দাঁতে লাগলে দাঁত শিরশির করছে। হ্যাঁ, এসবের কারণই হচ্ছে ডেন্টিন হাইপারসেনসিটিভিটি। ডেন্টিন হচ্ছে দাঁতের সবচেয়ে সেনসিটিভ অংশ। এনামেল আমাদের শরীরের সবচেয়ে শক্ত হাড়, যা সহজেই ব্যাকটেরিয়াল এসিড দ্বারা ক্ষয়প্রাপ্ত হতে পারে, এনামেল ক্ষয় হলে ডেন্টিন শক্তি বের হয়ে যায় আর তখন দাঁত শিরশির করে। যখন দন্তমজ্জা বের হয়ে যায় তখন দাঁতে তীব্র ব্যথা হয়। দাঁত শিরশির করা সাময়িক সময়ের জন্য হতে পারে অথবা দীর্ঘ সময়ের জন্যও হতে পারে। এটা একটি দাঁতে অনুভূত হতে পারে অথবা অনেক দাঁতেও হতে পারে। দাঁত শিরশির করার অনেক কারণ থাকতে পারে। এ ক্ষেত্রে কিছু কিছু উপাদান ব্যবহারের কারণে দাঁতে অস্বাভাবিক একটি যন্ত্রণাদায়ক অনুভূতির সৃষ্টি হতে পারে। যেসব জিনিস ব্যবহারের কারণে দাঁত শিরশির করতে পারে সেগুলো হচ্ছে- গরম খাদ্য ও পানীয়, ঠান্ডাজাতীয় খাদ্য ও পানীয়, ঠান্ডা বাতাস, মিষ্টিজাতীয় খাদ্য ও পানীয়, টকজাতীয় খাদ্য ও পানীয়, ঠান্ডা পানি ব্যবহার করে দাঁত পরিষ্কারের সময়। অ্যালকোহল সমৃদ্ধ মাউথ ওয়াশের কারণেও হতে পারে।
কারণগুলো : শক্ত ব্রাশ দ্বারা দাঁত ব্রাশ, বেশি জোরে এলোমেলোভাবে দাঁত ব্রাশ, টকজাতীয় বা এসিডিক খাদ্য ও জাতীয় ব্যবহার, পরিপাকতন্ত্রের পীড়ার কারণেও এনামেল ক্ষয় হতে পারে। মাড়ি সরে যাওয়ার কারণে পবসবহঃঁস বের হয়ে যায়। পবসবহঃঁস সবচেয়ে পাতলা আবরণী, যাহা সহজেই ব্রাশ করার কারণে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে যায়। দাঁত ভেঙে গেলে আঘাতজনিত কারণে এনামেলের আবরণী উঠে গেলে অথবা দাঁত ক্র্যাক হয়ে গেলে। দাঁত ফিলিং বা ক্যাপ করার সময় প্রয়োজনের অতিরিক্ত এনামেল কেটে ফেললে হতে পারে। দাঁত সাদা করা প্রক্রিয়ার কারণে হতে পারে। দাঁতের ফিলিং উঠে গেলেও দাঁত শিরশির করতে পারে। বয়সজনিত কারণে এনামেল ক্ষয় হতে পারে।
প্রতিকার : দাঁত শিরশির করার চিকিৎসানির্ভর করে দাঁত শিরশির করার কারণের ওপর। এ জন্য দেরি না করে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। বাজারে বিভিন্ন ধরনের মেডিকেটেড টুথপেস্ট পাওয়া যায়, যাহা শিরশির রোধ করে। সঠিক উপায়ে দাঁত পরিচর্যা করা। টকজাতীয় খাদ্য না খাওয়া। ফ্লুরাইডেটেড ডেন্টাল সামগ্রী ব্যবহার করা। ৬-১২ মাস অন্তর দাঁতের ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া।