উপকারী ফল আপেল। বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন একটি করে আপেল খাওয়ার পরামর্শ দেন। এতে সুস্থতার পথ সুগম হয়। আপেলে আছে বিশেষ উপকারী যৌগ যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে এবং হার্টের অসুখ থেকে দূরে রাখে।
এতে থাকা ফাইবার কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে কাজ করে। আপেলে থাকা পলিফেনল নানাভাবে সুস্থ রাখতে ভূমিকা রাখে। পলিফেনলগুলোর মধ্যে একটি হলো অ্যাপেকটিন ফ্ল্যাভোনয়েড, এটি রক্তচাপ হ্রাস করতে পারে। যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তারা নিয়মিত খাবারের তালিকায় রাখুন আপেল। এছাড়া যাদের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি রয়েছে তারাও নিয়মিত আপেল খেতে পারেন। কারণ বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, আপেল খেলে তা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমিয়ে দেয় অনেকটাই। আপেলে থাকা পলিফেনল শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। যারা নিয়মিত আপেল খান তাদের মধ্যে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা ২৮ শতাংশ কমে যায়, এমনটাই প্রমাণ মিলেছে গবেষণায়।
তাই আপনার সুস্থতার জন্যও আপেল খাওয়া জরুরি। কারণ ডায়াবেটিস না থাকলে যে কখনো হবে না, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। বরং বর্তমান বিশ্বে প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
তাই আগেভাগে সতর্ক থাকার জন্য খাবারের তালিকায় নজর দিন। আপেলের পলিফেনলগুলো বিটা কোষের ক্ষতি রোধ করতে সাহায্য করে। ইনসুলিন বিটা কোষ থেকে শরীরে উৎপাদিত হয় এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত করে। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই আপেল নিয়মিত খাওয়ার বিকল্প নেই। শুধু ডায়াবেটিস নয়, এটি অন্যান্য অনেক অসুখ থেকেই আপনাকে নিষ্কৃতি দেবে। এতে থাকা ফাইবার আপনার হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে অনেকটাই। যাদের ওজন বেশি, তাদের ক্ষেত্রে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ও বেশি থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্থুল ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তের ঝুঁকি বেড়ে যায়। নিয়মিত আপেল খেলে তা আপনার স্থুলত্ব ও হৃদরোগের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা গড়ে তুলবে। কারণ আপেলের পুরোটাই ফাইবার এবং পানি। যে কারণে আপেল খেলে পেট ভরে ঠিকই কিন্তু বাড়তি ওজনের ভয় থাকে না।