ঢাকা ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

৮০ শতাংশের বেশি নারী ভোগেন পিসিওসে, আদৌ কি তা সারে?

৮০ শতাংশের বেশি নারী ভোগেন পিসিওসে, আদৌ কি তা সারে?

পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম বা পলিসিস্টিক ওভারি ডিজিজে ভোগেন অনেক নারীই। পরিসংখ্যান মতে, ৮০ শতাংশের বেশি নারী ভোগেন এই রোগে। পিসিওস বা পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম। রোগটি কি আদৌ সারে? সারলে নিজের থেকেই সারে না ওষুধের প্রয়োজন পড়ে?

পিসিওসকে বিশেষজ্ঞদের একাংশ লাইফস্টাইল ডিজিজের তালিকাতেও গণ্য করে থাকেন। অর্থাৎ প্রতিদিনের জীবনযাপনের ধারা এই রোগের জন্য অনেকটা দায়ী। এই রোগের বেশ কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণ দেখা যায়।

পিসিওসের লক্ষণ কী কী?

এই সমস্যায় আক্রান্ত নারীদের জরায়ুতে সিস্ট তৈরি হয়। একাধিক ডিম্বাণু জমতে জমতে এই সিস্ট গঠন হয়। তাই একে পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম নাম দেওয়া হয়েছে।

তাই রোগটির প্রাথমিক লক্ষণ সিস্ট।

১. পিসিওস হলে পিরিয়ড অনিয়মিত হয়ে পড়ে। দুই পিরিয়ডের মধ্যে দিনসংখ্যার তফাত একই থাকে না। কখনও বাড়ে কখনও কমে যায়।

২. ব্রণ দেখা দেয়। সাধারণত ব্রণ একটি বয়সের পর আর হয় না। কিন্তু পিসিওস থাকলে ব্রণের সমস্যা থেকে যায়।

৩. চুল পাতলা হয়ে আসে। পিসিওর একটি বড় লক্ষণ এটি। প্রায়ই চুল ওঠে। চুল পাতলা হয়ে যায় সময়ের সঙ্গে সঙ্গে।

৪. ওজন বাড়তে থাকে অনিয়ন্ত্রিতভাবে। পিসিওসের একটি বড় লক্ষণ। তবে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে ওজন বজায় রাখা যায়।

রোগটির কারণ খুঁজতে একাধিক গবেষণা হয়েছে। দেখা গেছে, হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হওয়াই রোগটির বড় কারণ। যার পেছনে মূলত জীবনযাপনের কায়দা অনেকটা দায়ী থাকে।

পিসিওস কী সারে?

পিসিওস সমস্যা পুরোটা সারিয়ে ফেলা সম্ভব নয়। তবে এর বিভিন্ন লক্ষণগুলো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। জীবনযাপনের কায়দায় কিছু বদল আনলেই তা সম্ভব হয়। যেমন-

এই ধরনের খাবার আমাদের শরীরে স্ট্রেস হরমোনের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। তাছাড়া হরমোনের স্বাভাবিক ভারসাম্যও নষ্ট করে। তাই এই খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি। পাশাপাশি কফিও এড়িয়ে চলতে হবে।

কৃত্রিম চিনি ও রঙযুক্ত খাবার এড়ান : কৃত্রিম চিনি ও রংযুক্ত খাবার শরীরের জন্য মোটেই উপকারী নয়। পাশাপাশি এগুলো হরমোনের স্বাভাবিক কাজেও ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত