সর্দি-কাশি হলে অনেকেই পরামর্শ দেন তুলসী পাতা চিবিয়ে খেতে। এতে নাকি দ্রুত আরোগ্য মিলবে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুযায়ী, বিভিন্ন রোগ ঠেকাতে তুলসী পাতা দারুণ কাজ করে। তবে কেবল পাতা নয়, এর বীজও দারুণ কার্যকর। তুলসী বীজের স্বাস্থ্যগুণ অনেকেরই অজানা। চলুন জেনে নেওয়া যাক কেন খাবেন এই বীজ-
হজমের জন্য উপকারি : প্রতিদিন নিয়ম করে পানিতে ভিজিয়ে রাখা তুলসীর বীজ খান। এতে হজম ভালো হয়। তুলসী বীজে আছে প্রচুর পরিমাণ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এটি খিদে কমায়। পাশাপাশি ওজন কমাতে বেশ কার্যকর তুলসীর বীজ।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে : তুলসীর বীজে রয়েছে উপকারি ডায়েটারি ফাইবার। এটি রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। তাই ডায়াবেটিক রোগীরা নিশ্চিন্তে এটি খেতে পারেন।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে : কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন? এই সমস্যা দূর করতে ভরসা রাখতে পারেন তুলসীর বীজে। গরম পানি বা দুধের সঙ্গে তুলসীর বীজ মিশিয়ে খেলে গ্যাসের ব্যথায় আরাম পাবেন। কমবে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও।
এগজিমা ও সোরিয়াসিস থেকে মুক্তি দেয় :
তুলসীর বীজে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং ফ্ল্যাভোনয়েড। এটি ত্বকের জন্য বেশ উপকারি। নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে এই বীজ ব্যবহারে এগজিমা ও সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তুলসীর বীজে আছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট যা চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে : রক্ত পাতলা করে শরীরে রক্তের সঞ্চালন বাড়ায় তুলসীর বীজ। তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এটি খেতে পারেন। কীভাবে খাবেন তুলসীর বীজ? পানি বা দুধে ভিজিয়ে রোজ নিয়ম করে এই বীজ খাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও স্মুদি, দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে কিংবা পুডিংয়েও মেশাতে পারেন তুলসীর বীজ।