তাপপ্রবাহে তৃষ্ণা মেটাতে ফলের জুসের জুড়ি নেই। এতে তৃষ্ণা যেমন মেটে, তেমনি গরমে প্রয়োজনীয় ভিটামিনের চাহিদাও মেটে। ফলে রাজধানীর বাজারগুলোতে বেড়েছে ফল বিক্রি। তবে বিদেশি ফলের দাম অতিরিক্ত হওয়ায়, দেশি ফল কেনায় ঝুঁকছেন ক্রেতারা। স্বাদের পাশাপাশি তরমুজ স্বাস্থ্যের ধন হিসেবেও স্বীকৃত। রক্তশূন্যতার ক্ষেত্রে তরমুজ যেমন উপকারী, তেমনই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও তা উপকারী। তরমুজের খোসায় থাকে রসালো ভাব, থাকে পানির পরিমাণ। যা শরীরকে ডিহাইড্রেড হতে দেয় না। এতে ক্যালোরির পরিমাণ কম থাকায়, তা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। গরম পড়তেই বাজারে উঠছে তরমুজ। গ্রীষ্মের তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষা পেতে এই রসালো ফলের দিকে ঝুঁকেছেন অনেকেই। দুপুরে তরমুজের জুসই হোক বা খাওয়ার পরের ফল হিসেবে, তরমুজের জুড়ি মেলা ভার। তাছাড়া শরীর ঠান্ডা রাখা থেকে শুরু করে, বহু রোগ থেকে সুরক্ষা দেয় তরমুজ। হার্টের রোগ থেকে মুক্তি দিতে তরমুজ অপরিহার্য। কার্ডিওভ্যাসকুলার রোগ প্রতিরোধে, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে, রোগের ঝুঁকি কমাতে তরমুজের জুড়ি মেলা ভার। তরমুজে বহু মিনারেল ও ভিটামিন থাকায় তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তরমুজে থাকা উপাদান চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে। তরমুজে রয়েছে লাইকোপিন। যা ত্বকের উজ্জ্বলাত বাড়ায়। তরমুজে রয়েছে ভিটামিন ‘সি’ ও ভিটামিন ‘এ’। এছাড়াও রয়েছে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম। কিডনি ও লিভার সুস্থ রাখতে যা কার্যকরী। এছাড়াও তরমুজ মনকে শান্ত রাখে, প্রবল গরমে দেয় ঠাণ্ডার প্রভাব।
রক্তশূন্যতার ক্ষেত্রে তরমুজ যেমন উপকারী, তেমনই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও তা উপকারী। তরমুজের খোসায় থাকে সিট্রুলাইন, যা রক্তনালির প্রসারে সাহায্য করে। গবেষণা বলছে, এটি পেশিতে অক্সিজেন সরবরাহ করতে সাহায্য করে। তরমুজের খোসায় থাকে রসালো ভাব, থাকে পানির পরিমাণ। যা শরীরকে ডিহাইড্রেড হতে দেয় না।
এতে ক্যালোরির পরিমাণ কম থাকায়, তা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এছাড়া লিবিডো বর্ধক অ্যামিনো অ্যাসিড সিট্রুলাইন। কিছু গবেষণা বলছে, তরমুজের সঙ্গে খোসার কিছু অংশ মুখে চলে গেলেও সমস্যা নেই। এতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। রক্তের শর্করা কমাতে সাহায্য করে তরমুজের খোসা। কমাতে পারে কোলেস্টেরলের সমস্যা। এছাড়াও শরীরে ফাইবারের মাত্রা বাড়াতে তরমুজ গুরুত্বপূর্ণ।