সূর্যের তাপে আর ঝলসানো আলোয় চোখের ক্ষতি হতে পারে। তাই এই গরমে চোখ ভালো রাখতে হলে চাই সচেতনতা। গরমে আমাদের চোখ লম্বা সময় পর্যন্ত সূর্যের আলোর নিচে থাকে। এর ফলে চোখের সমস্যাও তৈরি হওয়ার সুযোগ পায়। তাই কিছু নিয়ম জেনে নিতে হবে যেন চোখের ক্ষতি ঠেকানো যায়।
বড় বারান্দাওয়ালা টুপি : রোদ চশমা চোখকে ছায়া দিতে পারে। তবে চশমার ফাঁক দিয়ে অতিবেগুনি রশ্মি চোখে ঠিকই প্রবেশ করে। এই রশ্মি চোখের দীর্ঘ মেয়াদি ক্ষতি করে। এ থেকে রক্ষা পেতে চওড়া কিনারযুক্ত এবং মাথাকে ছায়া দিতে পারে এমন টুপি পরতে হবে। অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে চোখের নিচের পাতায় ক্যান্সার হতে পারে, যা পরে পুরো চোখে ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে।
পর্যাপ্ত ঘুম : বিশেষজ্ঞরা জানান, দীর্ঘ সময় জেগে থাকলে দৃষ্টি শক্তির গভীরতা হ্রাস পায়।
সাঁতারের সময় গগল পরা : সুইমিং পুল বা যে কোনো জলাধারে সাঁতার কাটতে গেলে অবশ্যই সাঁতারের জন্য ব্যবহৃত গগল পরতে হবে। সুইমিং পুলের পানিতে থাকা ক্লোরিন এবং অন্য জলাধারের পানিতে থাকা অনুবীক্ষণীক জীবাণু চোখে প্রবেশ করে ক্ষতি সাধন করে। ক্লোরিন সাধারণত চোখের কর্নিয়ার উপর একটি স্তর তৈরি করে, যা চোখের দৃষ্টি ঝাপসা করে দেয়। সুইমিং পুল ছাড়া, অন্য জলাধারে ক্লোরিন না দেওয়ার কারণে জীবাণু জন্মানোর সুযোগ পায় যা চোখে চুলকানি এবং অন্য অসুখ সংক্রামণের কারণ হয়।
হাত পরিষ্কার রাখা : বিশেষজ্ঞরা বলেন, চোখ বারবার কচলালে চোখে সংক্রামণ হওয়ার সম্ভবনা থাকে। একমাত্র হাত বার বার ধুয়ে পরিষ্কার রাখলেই এই ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকা যায়। তাই চোখে কোনো ওষুধ দেওয়ার আগে অথবা কনট্যাক লেন্স পরার আগেও হাত ধুয়ে নেওয়া উচিত। এভাবে চোখে সংক্রামণ প্রতিরোধ করা যায়।
আর্দ্র দেহ, সুস্থ চোখ : চোখের সুস্থতার জন্য দেহে প্রচুর পরিমাণে জলীয় পদার্থ থাকতে হবে। খাদ্য তালিকায় তরমুজ, শসা, পানিসমৃদ্ধ অন্য সব ফল এবং সবজি নিয়মিত যোগ করলে শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় থাকে। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে পানি পানে চোখের স্বাভাবিক ক্রিয়া বজায় থাকে। চোখ ভালো রাখতে সব ধরনের ভিটামিন এবং মিনারেল তো খেতে হবেই। প্রয়োজনে, ভিটামিন সি, ই এবং জিংকের সম্পূরক উৎস থেকেও পুষ্টি গ্রহণ করতে হবে। তবে অবশ্যাই রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে।