ঢাকা ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পায়ের নখে ফাঙ্গাস?

পায়ের নখে ফাঙ্গাস?

পায়ের নখের ফাঙ্গাস, যা ডাক্তারি ভাষায় অনাইকোমাইকোসিস নামে পরিচিত। এতে আক্রান্ত হয়ে থাকেন অনেকেই। এর ফলে নখ বিবর্ণ এবং ভঙ্গুর হতে পারে, যার ফলে অস্বস্তি এবং ব্যথা দেখা দেয়। যদিও গুরুতর ক্ষেত্রে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়াই সবচেয়ে ভালো, তবে বেশ কয়েকটি ঘরোয়া প্রতিকার রয়েছে যা কার্যকরভাবে পায়ের নখের ফাঙ্গাসের চিকিৎসা করতে পারে। চলুন জেনে নেয়া যাক, পায়ের নখে ফাঙ্গাস হলে কী করবেন-

১) টি ট্রি অয়েল :

টি ট্রি অয়েল একটি জনপ্রিয় প্রাকৃতিক অ্যান্টিফাঙ্গাল এজেন্ট যা বহু শতাব্দী ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এর শক্তিশালী অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য পায়ের নখের ফাঙ্গাসের চিকিৎসার জন্য বেশ কার্যকরী।

কীভাবে ব্যবহার করবেন :

সাবান এবং পানি দিয়ে আক্রান্ত স্থানটি পরিষ্কার করুন, তারপরে কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল সরাসরি পায়ের নখের উপর লাগান। এভাবে রেখে দিন এবং কয়েক ঘণ্টার জন্য পানি লাগাবেন না। সেরে না ওঠা পর্যন্ত কয়েক সপ্তাহ এভাবে ব্যবহার করুন।

২) আপেল সাইডার ভিনেগার :

আপেল সাইডার ভিনেগার হলো আরেকটি ঘরোয়া প্রতিকার যা পায়ের নখের ফাঙ্গাস দূর করতে কাজ করে। এর অ্যাসিডিক প্রকৃতির কারণে চিকিৎসা করতে সাহায্য করতে পারে, যা ফাঙ্গাসের বিকাশের জন্য একটি প্রতিকূল পরিবেশ তৈরি করে।

কীভাবে ব্যবহার করবেন :

পা ভেজানোর জন্য যথেষ্ট বড় পাত্রে আপেল সাইডার ভিনেগার এবং পানির সমান অংশ মিশিয়ে নিন। প্রতিদিন ২০-৩০ মিনিটের জন্য এই দ্রবণে পা ভিজিয়ে রাখুন। পরে আপনার পা ভালোভাবে শুকিয়ে নিন। ধারাবাহিক ব্যবহারে উন্নতি হতে পারে।

৩) রসুন :

রসুন তার অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যের জন্য সুপরিচিত, যা পায়ের নখের ফাঙ্গাসের চিকিৎসায় উপকারী হতে পারে।

কীভাবে ব্যবহার করবেন :

রসুনের কয়েকটি কোয়ার পেস্ট করে নিন। এবার পেস্টটি সরাসরি আক্রান্ত পায়ের নখের উপরে লাগান। এ ছাড়া রসুন-মিশ্রিত পানির দ্রবণে পা ভিজিয়ে রাখতে পারেন। সে জন্য কুসুম গরম পানিতে কয়েকটি থেঁতো করা রসুনের কোয়া মিশিয়ে নিলেই হবে। এরপর সেই পানিতে প্রতিদিন আধা ঘণ্টা পা ভিজিয়ে রাখতে হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত