কমবয়সীদের মধ্যে বাড়ছে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি!
প্রকাশ : ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক
সাধারণত মধ্য বয়স বা তার থেকে বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে কোলন ক্যান্সার দেখা যায়। তবে বর্তমানে কমবয়সীদের মধ্যেও এই রোগ দেখা দিচ্ছে। প্রাথমিকভাবে কোলনের ভেতর উপবৃদ্ধি হিসেবে কোলন ক্যানসারের সূত্রপাত। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই উপবৃদ্ধিগুলো ক্যানসারে রূপান্তরিত হতে পারে। মলদ্বারে প্রদাহ, মলত্যাগের সময় তীব্র যন্ত্রণা কিংবা রক্তপাত ইত্যাদি কোলন ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। সম্প্রতি তাইওয়ানের চ্যাঙ্গ গুঙ্গ মেমোরিয়াল হসপিটালের করা একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, কমবয়সীদের মধ্যে কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা প্রতি বছর ৩.২ শতাংশ হারে বাড়ছে। সমীক্ষায় দেখা গেছে ৫০ বছরের নীচে যাদের বয়স, তাদের মধ্যে বেশিরভাগই কোলন ক্যান্সারের উপসর্গ দেখেও খুব বেশি গুরুত্ব দেন না। ফলে অনেক দেরিতে সেই রোগ ধরা পড়ে। চিকিৎসকদের মতে, যে কোনো বয়সেই কোলন ক্যানসারের উপসর্গ দেখা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া জরুরি। কোন কোন উপসর্গ দেখলে সতর্ক হবেন, চলুন জানা যাক-
মলত্যাগের পরিমাণ ওঠাণ্ডনামা : দিনে কতবার মলত্যাগের প্রয়োজন অনুভব করেন? আচমকা এর তারতম্য ঘটা কোলন ক্যানসারের অন্যতম লক্ষণ। হঠাৎ করে এর হেরফের হলে সতর্ক হন।
বমি বমি ভাব : আচমকা বমি বমি ভাব, গা গুলিয়ে ওঠা, ওজন কমে যাওয়া ইত্যাদি কোলন ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
মলত্যাগের সময় ব্যথা : কোলন ক্যানসার হলে মলত্যাগের সময় ব্যথা ও যন্ত্রণা অনুভূত হতে পারে। মলত্যাগের পরেও মল রয়ে যাওয়ার অনুভূতি দেখা যায়। সরু ফিতের মতো মল নির্গত হওয়াও কোলন ক্যানসারের উপসর্গ হতে পারে।
মলদ্বারে রক্তপাত : মলদ্বারে রক্তপাত কোলন ক্যান্সারের অন্যতম প্রধান লক্ষণ। অর্শের সমস্যা থাকলেও এমনটা হয়। তবে এই রক্তপাতের মধ্যেও রয়েছে তারতম্য। অর্শ বা পাইলসের রোগীদের ক্ষেত্রে যে রক্তপাত হয় তা সাধারণত লাল।
অন্যদিকে কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে এই রক্ত কালচে রঙের হয়। কালচে রং দেহের অভ্যন্তর থেকে নির্গত রক্তের সূচক। এ ছাড়াও তলপেটে ব্যথাও কোলন ক্যানসারের অন্যতম মুখ্য একটি উপসর্গ। এই সমস্যা থাকলে যেহেতু অন্ত্র থেকে রক্তপাত হয় তাই এটি রক্তাল্পতা তৈরি করে। আর রক্তাল্পতা ডেকে আনে ক্লান্তি। চিকিৎসকদের মতে, স্বাস্থ্যকর খাবার, নিয়মিত শরীরচর্চা, মদ্যপান ও ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করার মাধ্যমে এই রোগের ঝুঁকি কমিয়ে আনা যায়। পাশাপাশি লাল মাংস খাওয়ার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ, ঠিক সময় অন্যান্য ক্রনিক অসুখের চিকিৎসা করাতে হবে। খাবার তালিকায় রাখতে হবে টাটকা ফলমূল, শাকসবজি, ভূষিসহ আটার রুটি, ওটস, মিলেট। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে যাওয়ার আগেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।