মস্তিষ্ককে তীক্ষè রাখার জন্য কেবল ধাঁধা সমাধান করা বা নতুন দক্ষতা শেখাই কার্যকরী নয়, আমাদের বডি মুভমেন্টও এক্ষেত্রে কার্যকরী! ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ বিহেভিওরাল নিউট্রিশন অ্যান্ড ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি-তে প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে যে, মাঝারি থেকে জোরালো ব্যায়াম করলে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত স্মৃতিশক্তি এবং মস্তিষ্কের শক্তির উন্নতি হয়।
ব্যায়াম করার সময় আমাদের হৃদপি- আরো রক্ত পাম্প করে, যা মস্তিষ্কে অক্সিজেন এবং পুষ্টি বহন করে। এটি কেবল শক্তিই বৃদ্ধি করে না, স্মৃতিশক্তি এবং চিন্তার দক্ষতা উন্নত করতেও সহায়তা করে। জড়িপে ৫০ থেকে ৮৩ বছর বয়সী ৭৬ জন লোকের উপর নজর দেয়া হয়েছিল। অংশগ্রহণকারীরা দ্রুত হাঁটা বা নাচের মতো মাঝারি থেকে জোরালো ক্রিয়াকলাপ করেছিল, ঠিক পরের দিন তারা স্মৃতি পরীক্ষায় আরো ভালো স্কোর করেছিল। সুতরাং, ব্যায়াম থেকে মস্তিষ্কের বৃদ্ধি শুধুমাত্র স্বল্পস্থায়ী নয় প্রধান লেখক ডক্টর মিকেলা ব্লুমবার্গ ব্যাখ্যা করেন, যে কোনো কিছু যা আপনার হৃদস্পন্দনকে বাড়িয়ে দেয়- যেমন সিঁড়ি বেয়ে ওঠা বা দ্রুত জগিং- আপনার মস্তিষ্কের জন্য কার্যকরী হতে পারে। ব্যায়াম করার কয়েক ঘণ্টা পরেও সুবিধাগুলো পাওয়া যায়। মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে ব্যায়াম কীভাবে শক্তিশালী প্রভাব ফেলে? আপনি যখন নড়াচড়া করেন তখন আপনার মস্তিষ্কের অভ্যন্তরে কী ঘটে জানেন কি? চলুন জেনে নেয়া যাক-
রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি : ব্যায়াম মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। মস্তিষ্ককে সর্বোত্তমভাবে কাজ করতে সাহায্য করার জন্য আরো অক্সিজেন এবং পুষ্টি সরবরাহ করে।
ফিল-গুড কেমিক্যাল : ব্যায়াম করলে তা ডোপামিন এবং নোরপাইনফ্রাইনের মতো মস্তিষ্কের রাসায়নিকের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। এগুলো আমাদের মনোযোগী থাকতে, মেজাজ উন্নত করতে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
ঘুম ভালো করে : গবেষণায় আরো দেখা গেছে যে, ব্যায়াম ঘুমের গুণমান উন্নত করে, বিশেষ করে গভীর ঘুম। এটি তখনই যখন আপনার মস্তিষ্ক স্মৃতিগুলোকে প্রক্রিয়া করে এবং নিজেকে মেরামত করে।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে : বেশিরভাগ গবেষণায় দেখা গেছে যে, ব্যায়াম মস্তিষ্কের স্মৃতি সংরক্ষণ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। নিয়মিত ব্যায়াম করেন এমন অনেকের ওপর করা গবেষণায় এমনটাই প্রমাণ মিলেছে। তাই শরীরের পাশাপাশি মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে ব্যায়াম করার অভ্যাস করুন।
