আমাদের পরিচিত ফল শশা। যা সালাদ হিসেবে বেশি জনপ্রিয়। অনেকেই দ্রুত ওজন কমানোর জন্য প্রায় সারাদিন ধরেই শশা খান। ফল হিসেবে শশা, সালাদে শশা, খাবারে শশা। কিন্তু এর অপকারিতা জানেন? শশায় ক্যালোরি ভীষণ কম থাকে। যারা ওজন কমাতে চান তারা নিয়মিত এই ফলটি খান। বলা ভালো তাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় শশা থাকেই। এছাড়া যেহেতু শশায় পানির মাত্রা বেশি সেহেতু এটা আমাদের ডিহাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। ফলে এই ফলটির একাধিক উপকারিতা আছে। শশার পুষ্টিগুণ কিছু কম নয়। ভিটামিন, মিনারেল এবং ফাইবার আছে এই ফলে প্রচুর পরিমাণে। অনেকেই ভাবেন শশা খেলে দ্রুত খাবার হজম হয়ে যায়। এটা আমাদের হজম ক্ষমতা বাড়ায়। এমন চলতি ধারণা দেখা যায়। যার ফলে অনেকেই সারাদিন শশা খেতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন। এই স্বাস্থ্যকর, পুষ্টিগুণ সম্পন্ন ফলটি তখন বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
শশা কখন আর কেন স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ? ১) শশা যদি ঠিক করে কাটা না হয় তার মধ্যে থাকা টক্সিন থেকে যায়। এই কারণে অনেক সময় শশা তিতা লাগে। শশা তিতা হওয়ার প্রধান কারণ হলো এর মধ্যে রয়েছে কিউকারবিটাসিন এবং টেট্রাসাইক্লিক ট্রাইটারপেনিওড। এই ক্ষতিকর রাসায়নিকগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। তাই শশা খেতে গিয়ে যদি তেতো লাগে সেটা খাবেন না। ২) কিউকারবিটিন রয়েছে শশার মধ্যে। এটা মূত্রবর্ধক হিসেবে পরিচিত। ফলে শশা যদি বেশি খান তাহলে অতিরিক্ত পানি প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যাবে। ডিহাইড্রেশন হবে। ৩) শশা খেলে কিডনির সমস্যাও দেখা দিতে পারে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে শশা কারণ এতে আছে পটাশিয়াম। কিন্তু আপনি যদি শশা বেশি মাত্রায় খান তাহলে হাইপারক্যালেমিয়ার মতো রোগ হতে পারে। তখন শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে গিয়ে গ্যাস, পেট ফোলা, ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়।
