ঠান্ডা আবহাওয়াতে অনেকেরই খুশকির সমস্যা বাড়তে দেখা যায়। তবে এই সমস্যায় ভোগার পেছনে শুষ্কতাই একমাত্র কারণ নয়। যদিও শীতের বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকার কারণে চামড়া ফাঁটে, মরা চামড়া ওঠে। আর মাথার মরা চামড়া আঁশের মতো ওঠা শুরু করলে তাকে বলে খুশকি।
খুশকি দূর করতে ঘরোয়া সমাধান : ড্যান্ড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার ছাড়াও অন্যান্য উপাদান দিয়ে খুশকি দূর করা যেতে পারে।
নারিকেল তেল : তিন থেকে পাঁচ চা-চামচ পরিমাণ তেল মাথার ত্বকে ঘষে ভালো মতো মেখে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই তেলে থাকা লরিক অ্যাসিড ফ্যাঙ্গাস রোধী হিসেবে কাজ করে। মাথার ত্বক আর্দ্র রাখে।
অ্যালো ভেরা : শ্যাম্পু করার আগে অ্যালো ভেরার জেল মাথায় মাখতে হবে।
অ্যাপল সাইডার ভিনেগার : সিকি ভাগ পানিতে সিকি ভাগ অ্যাপল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে মাথায় ঢেলে ১৫ মিনিট রেখে ভালো মতো ধুয়ে ফেলতে হবে। এই ভিনেগারের ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল’ প্রভাব খুশকি দূর করতে পারে।
অ্যাসপিরিন : দুটি অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট গুঁড়া করে শ্যাম্পুর সাথে মিশিয়ে মাথা মাখতে হবে। দুই মিনিট রেখে ধুতে হবে ভালো মতো। অ্যাসপিরিনে আছে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড, যা অনেক ড্যান্ড্রাফ শ্যাম্পুতেও থাকে।
বেইকিং সোডা : মাথা ও চুল ভিজিয়ে বেইকিং সোডা মাথার ত্বকে ছিটিয়ে কয়েক মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। তবে এটা ‘আল্কালাইন’ বা ক্ষারীয় বলে চুলের ক্ষতিও করতে পারে।
লেবুর রস : দুই চা-চামচ লেবুর রস মাথার ত্বকে মেখে শুষে নেয়ার জন্য কয়েক মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। তারপর এক কাপ পানিতে আরো এক চা-চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মাথার ত্বকে ঢালতে হবে। টক ফলে থাকা অ্যাসিড মাথার ত্বকে পিএইচ বা ক্ষারীয় মাত্রায় ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
অলিভ অয়েল : মাথার ত্বকের অলিভ অয়েল বা জলপাইয়ের তেল মেখে শাওয়ার ক্যাপ পরে রাতে ঘুমিয়ে থাকতে হবে। সকালে উঠে শ্যাম্পু দিয়ে ধুতে হবে। এটা আর্দ্রতা বাড়ায়। তবে অতিরিক্ত ব্যবহারে আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়ে গিয়ে ফাঙ্গাসের আক্রমণ বাড়াতে পারে। তাই ব্যবহার করতে হবে অল্প পরিমাণে।