ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

বিষণ্ণতা কাটানোর ব্যায়াম

বিষণ্ণতা কাটানোর ব্যায়াম

মন খারাপ, কিছু ভালো লাগে না- এই ধরনের মানসিক অবস্থা কাটিতে উঠতে চিকিৎসার ছাড়াও উপকার পেতে বেছে নেয়া যায় নানা ধরনের ব্যায়াম। কারণ বিভিন্ন গবেষণায় নানাভাবে প্রমাণিত হয়েছে বিষণ্ণতার মাত্রা কমাতে শারীরিক কর্মকাণ্ড প্রভাব ফেলতে পারে। চীনের ‘রেনমিন হসপিটাল অফ উহান ইউনিভার্সিটির গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে সিএনএন ডটকমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, ব্যায়াম বা শারীরচর্চার ফলে সেরোটোনিন হরমোনের মাত্রা বাড়ে, যেটার সঙ্গে আনন্দ, শান্তি ও মনোযোগ বৃদ্ধির সম্পর্ক রয়েছে। দেহে আরাম বোধ ও শিথিল হয়। এন্ডোর্ফিন্স হরমোন নিঃসরণ বাড়ে যা মন মেজাজ উন্নত করার পাশাপাশি ভালো বোধ বাড়ায়। দুশ্চিন্তা ও নেতিবাচক ভাবনা দূরে রাখে। আত্ম নিয়ন্ত্রণ ও সম্মান বাড়ায়।

অস্ট্রেলিয়ার ‘ইউনিভার্সিটি অফ কুইন্সল্যান্ডে’র ‘স্কুল অফ সাইকোলজি’ পরিচালিত ২০২৪ সালের গবেষণাপত্রে বলা হয়, বিষণ্ণতার চিকিৎসায় কার্যকর শারীরিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে ইয়োগা।

উপকারিতার মধ্যে আছে : মেজাজ ও যোগ্যতার পরিধি বাড়ে সময়ের সাথে। শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে। ধ্যান ও গভীর শ্বাস প্রশ্বাসের সংমিশ্রণে বিষণ্ণতা, মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা কমায়। বড় সুবিধা হলো এই ব্যায়াম করতে কোথাও যেতে হয় না, ঘরেই করা যায়। আর কোনো যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হয় না।

উল্লেখিত গবেষণায় আরও জানানো হয়, বিষণ্ণতা কমাতে হাঁটা হলো আরেকটি কার্যকর ব্যায়াম। স্বাস্থ্য ও মেজাজ উন্নত করে। সময়ের তালে শরীরের সহনশীলতা বাড়ে। যেমন হাঁটা দ্রুত হয় বা বেশিক্ষণ হাঁটা যায়। বাইরের পরিবেশ উপভোগ করা যায়। তেমন কোনো ব্যায়ামের যন্ত্র ব্যবহার করতে হয় না। সামাজিক মেলামেশার অন্যতম মাধ্যম হতে পারে। কারণ বন্ধু বা স্বজনদের নিয়ে এই কর্মকাণ্ড করা যায়। দ্রুত বা ধীরে- যেভাবেই দৌড়ানো হোক না কেনো, মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে ইতিবাচক প্রভাব রাখে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত