আলসেমি কাটানোর খাবার

প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  স্বাস্থ্য ডেস্ক

সারাদিন দুর্বল লাগার মতো বাজে বিষয় আর হয় না। বিশেষ করে যখন অনেক কাজ থাকে। অলস দুপুরে আসলেই যখন আলসেমি জেঁকে বসে তখন এক মগ কফি বা চা নিয়ে হয়তে দেহকে চাঙা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ‘তবে জেনে রাখুন এই পানীয়গুলো দেহে ‘এনার্জি’ ফিরিয়ে আনার একমাত্র অবলম্বন নয়’- রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে মন্তব্য করেন মার্কিন পুষ্টিবিদ ও ‘নিউট্রিশন উইথ ম্যাডি’র প্রতিষ্ঠাতা ম্যাডি প্যাসকুয়েরিলো। সঠিক খাবার নির্বাচন করতে পারলে, দেহের জ্বালানি হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি ক্ষুধাও মিটবে।

শক্তির ওপর পুষ্টি উপাদান যেভাবে কাজ করে : প্যাসকুয়েরিলো বলেন, ‘যে কোনো খাবার বা পানীয়র ক্যালরি দেহে জ্বালানি হিসেবে কাজ করে। সেই জ্বালানি কার্যকরভাবে খরচের ক্ষেত্রে দেহ নির্ভর করে কী ধরনের খাবার খাওয়া হচ্ছে, পুষ্টিগুণ ও আঁশের পাশাপাশি ক্যালরির পরিমাণ কেমন।’ ‘ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্টস’ হল এমন পুষ্টিগুণ যা দেহকে শক্তি যোগায়। এগুলোর মধ্যে আছে- কার্বোহাইড্রেইটস, প্রোটিন এবং চর্বি। ‘আর এগুলো আমাদের বেশি পরিমাণে প্রয়োজন হয়’- বলেন প্যাসকুয়েরিলো। তিনি আরও বলেন, ‘কার্বা বা কার্বোহাইড্রেইটস হল দেহের জ্বালানির প্রধান উৎস। এগুলো বেশিরভাগই দ্রুত বিপাক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।’ আবার প্রোটিন এবং চর্বিতেও রয়েছে ক্যালরি। তাই এগুলোও কিছু শক্তি প্রদান করে। পাশাপাশি এই তিন ‘ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্টস’ তৃপ্তিবোধ বাড়িয়ে খিদার অনুভূতি কমায়। আর এই ধরনের খাবারেই মিলবে দুপুরের আলসেমি কাটানোর ওষুধ।

ওটস : ‘শক্তিবর্ধক এই খাবার সকালে, ব্যায়ামের আগে বা পরের খাবার হিসেবে আদর্শ’- বলেন প্যাসকুয়েরিলো। কারণ এতে রয়েছে জটিল কার্বোহাইড্রেইটস, যা ধীর হজম হয়। শক্তির স্থির উৎস হিসেবে কাজ করে। আরও রয়েছে দ্রবণীয় আঁশ। যা কোলেস্টেরল কম রাখতে সাহায্য করে।

‘পাশাপাশি মিলবে ভিটামিনস, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস’- একই প্রতিবেদনে বলেন, ‘দি ওহিও স্টেট ইউনিভার্সিটি ওয়েক্সনার মেডিকেল সেন্টার’য়ের পুষ্টিবিদ ডিনা চ্যাম্পিয়ন। অন্যান্য শক্তিবর্ধক খাবার যেমন- বাদাম, প্রোটিন পাউডার কিংবা ফল দিয়ে মিশিয়ে খেলে উপকার হবে বেশি।