ঢাকা ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট

চীন থেকে আসা যাত্রীদের নিষেধাজ্ঞা মরক্কোতে

চীন থেকে আসা যাত্রীদের নিষেধাজ্ঞা মরক্কোতে

চীন থেকে আসা যাত্রীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কো। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।

জানা যায়, সম্প্রতি চীনে করোনার ব্যাপক সংক্রমণ দেখা দিয়েছে, বেড়েছে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যাও। এমন পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।

মরক্কোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, চীন থেকে আসা যাত্রীদের জাতীয়তা বা নাগরিকত্ব যাই হোক না কেন, তারা সবাই এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন। অবশ্য নতুন করে করোনার মারাত্মক সংক্রমণ দেখা দেয়ায় যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, স্পেন, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, ইতালি, জাপান ও তাইওয়ান চীন থেকে আসা যাত্রীদের জন্য শনাক্তকরণ বা বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্য পরীক্ষা চালু করেছে। মরোক্কর গণমাধ্যমগুলো বলেছে, চীন থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক মরক্কো ভ্রমণ করেন। সাধারণত, মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যদিয়ে আসা বিভিন্ন ফ্লাইটে তারা এখানে আসেন।

করোনা-সংক্রান্ত কঠোর বিধি-নিষেধ বাতিলের পরপরই চীনে করোনাভাইরাসের ভয়াবহ সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। প্রতিদিনই দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলের অসংখ্য মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন।

বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিও প্রতিবেদনে দেখা যায়, চীনের হাসপাতালগুলোতে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের উপচেপড়া ভিড়। সেই সঙ্গে মরদেহ পোড়ানোর জন্য নির্ধারিত শ্মশানেও প্রচণ্ড ভিড় লক্ষ্য করা যায়।

চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের ধারণা, এবার করোনার অমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সিচুয়ান প্রদেশ ও রাজধানী বেজিংয়ের অর্ধেকেরও বেশি বাসিন্দা নতুন এ ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত হয়েছেন।

চীনা সরকারের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছরের ডিসেম্বর মাসের প্রথম ২০ দিনে প্রায় ২৫ কোটি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার ১৮ শতাংশ। সে হিসাবে দৈনিক গড়ে ১ কোটি ২২ লাখ চীনা নাগরিক করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন।

অন্যদিকে, করোনায় মৃত্যুর সংজ্ঞা বদলানোর পর চীনা কর্মকর্তারা ডিসেম্বর মাসজুড়ে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন।

২০২২ সালের জানুয়ারিতে চীনে দৈনিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪০ লাখ মানুষ। তবে, বর্তমানের সংক্রমণ অতীতের যে কোনো রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে, যা চীনকে করোনার চতুর্থ ঢেউয়ে ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মহামারি থেকে বাঁচার কৌশল সম্পর্কে জনগণকে সঠিক সময়ে তথ্য সরবরাহ করতে না পারা ও বয়স্কদের টিকাদানে ব্যর্থতার কারণেই চীনে নতুন করে করোনার এমন ভয়াবহ সংক্রমণ শুরু হয়েছে।

জিরো কোভিড নীতি বাতিল করতে না করতেই চীনের করোনা পরিস্থিতির এমন ভয়াবহ অবনতি নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত