ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের রাজৌরিতে দুই দফা হামলার ঘটনায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। একই এলাকায় ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই দফা হামলার পর উত্তেজনা বিরাজ করছে। গত রোববার সন্ধ্যায় রাজৌরি জেলায় তিনটি বাড়িতে বন্দুক হামলায় চারজন নিহত ও অন্তত ৯ জন আহত হন। গতকাল সোমবারও একই বাড়ির কাছে বিস্ফোরণে এক শিশু নিহত ও আরও চারজন আহত হন। তবে এই বিস্ফোরণ কীভাবে হলো তা এখনও স্পষ্ট নয়। এসব ঘটনার পর মাঠে নেমেছেন তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তারা।
গত রোববারের হামলার প্রতিবাদে রাজৌরির মানুষ বিক্ষোভ শুরু করেন। তাদের অভিযোগ, স্থানীয় প্রশাসনের নিরাপত্তা নিয়ে উদাসীনতার কারণে এ হামলা হয়েছে।
স্থানীয় আঞ্চলিক প্রশাসনের প্রধান মনোজ সিনহা এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, রাজৌরিতে কাপুরুষোচিত সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে আর্থিক সহায়তা দেয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি। গতকাল সোমবার এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, হামলার পেছনে যেই থাকুক, তাকে ছাড় দেয়া হবে না।
কাশ্মীরের হিমালয় অঞ্চলটি ঘিরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এক ধরনের উত্তেজনা সব সময় বিরাজমান। ভারত সব সময় এই এলাকায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার পেছনে পাকিস্তানের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করে। তবে এমন অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে ইসলামাবাদ।
জম্মু ও কাশ্মীর ২০১৯ সালের আগস্ট পর্যন্ত ভারতের একমাত্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য ছিল, যখন ফেডারেল সরকার এটির স্বায়ত্তশাসন প্রত্যাহার করে নেয় এবং এটিকে দুটি পৃথক অঞ্চলে বিভক্ত করে।
জানা গেছে, গত রোববার যে চারজনকে হত্যা করা হয়েছে তারা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীরের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের। গত একবছরে, কাশ্মীরে বেশ কয়েকজন হিন্দু হামলায় নিহত হয়েছে। ফলে, এই সম্প্রদায়ের মধ্যে এক ধরনের উত্তেজনা বিরাজ করছে।
