বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন নতুন সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার ইসরাইলি নাগরিক। ইসরাইলি পার্লামেন্ট সেনেটের বামপন্থি ও ফিলিস্তিনি সদস্যরা এ বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন। গতকাল রোববার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায় কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার তেল আবিব শহরে হাজার হাজার সাধারণ নাগরিক প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সদ্যগঠিত সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তারা সদ্য গঠিত এ সরকারকে গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক, ফ্যাসিবাদ ও বর্ণবাদী বলে আখ্যা দেন। এমনকি, অনেকে ইসরাইলি ও রংধনু পতাকা হাতে নিয়ে বিক্ষোভে অংশ নেন। অনেকে আবার ‘ক্রাইম মিনিস্টার’ লেখা নিয়ে হাজির হন। ক্রাইম মিনিস্টার শব্দ দুটি বিগত বছরগুলোতে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে নিয়মিত বিক্ষোভের সময় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত স্লোগানের মধ্যে একটি। এ সময় বিক্ষোভকারীরা দেশটির বিচারমন্ত্রী ইয়ারিভ লেভিনের নিন্দা করেন। তাদের দাবি, গত বুধবার লেভিন বিচার ব্যবস্থায় এমন সংশোধন ঘোষণা করেছেন, যা দেশের সুপ্রিমকোর্টকে দুর্বল করে ফেলবে। এ সংশোধনীর ফলে দেশটির পার্লামেন্ট সুপ্রিমকোর্টের সিদ্ধান্তগুলোকে বাতিল করার ক্ষমতা পাবে। ড্যানি সাইমন নামের এক বিক্ষোভকারী বলেন, আমরা সত্যিই ভয় পাচ্ছি, কারণ আমাদের দেশ গণতন্ত্র হারাতে চলেছে। আমরা শিগগির এ স্বৈরাচারী শাসকের হাত থেকে মুক্তি পেতে চাই।
অনেকে বলছেন, ডানপন্থি নতুন এ সরকার অধিকৃত পশ্চিম তীরে বসতি সম্প্রসারণের নীতি অনুসরণ করছে ও এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের সদস্য-সমর্থকদের উদ্বিগ্ন করে এমন সব সামাজিক সংস্কার আনতে যাচ্ছে।
২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে ইসরাইলের পার্লামেন্টে আস্থা ভোটের মাধ্যমে নতুন সরকার গঠনের বিষয়টি পাস হয়ে যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন নেতানিয়াহু। আস্থা ভোটে পার্লামেন্টের ১২০ সদস্যের মধ্যে ৬৩ জন নতুন সরকারের পক্ষে ভোট দেন। জানা যায়, নতুন সরকারের মন্ত্রিসভায় এমন রাজনীতিবিদ রয়েছেন, যার বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে ও তিনি এ অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছেন। তাছাড়া, কট্টোর ডানপন্থি ওই নেতা ফিলিস্তিনে বর্বর গণহত্যা চালিয়েছিলেন বলেও শোনা যায়। এদিকে, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু নিজেও আদালতে দুর্নীতির অভিযোগের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন।
