ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

প্রিন্স হ্যারির স্মৃতিকথা ‘স্পেয়ার’ বিক্রির হিড়িক

প্রিন্স হ্যারির স্মৃতিকথা ‘স্পেয়ার’ বিক্রির হিড়িক

অবশেষে পাওয়া যাচ্ছে ব্রিটিশ রাজ পরিবার ছেড়ে আসা প্রিন্স হ্যারির স্মৃতিকথা ‘স্পেয়ার’। কয়েক মাস ধরে অপেক্ষা এবং জোরোশোরে প্রচারণার পর প্রিন্স হ্যারির আত্মজীবনী ‘স্পেয়ার’ গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে তার জন্মস্থান যুক্তরাজ্যে বিক্রি শুরু হয়। বাজারে আসার আগেই বইটিতে দেয়া প্রিন্স হ্যারির তথ্য নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়।

আনুষ্ঠানিকভাবে বইটি প্রকাশের পর পাঠকের চাপ সামলাতে লন্ডনে বইয়ের দোকানগুলো মধ্যরাত পর্যন্ত খোলা রাখতে হচ্ছে। প্রিন্স হ্যারির বইটি ১৬টি ভাষায় প্রকাশ পেয়েছে। গত এক দশকে সবচেয়ে বেশি প্রি-অর্ডার পাওয়া বইয়ের তালিকায়ও নাম লিখিয়েছে ‘স্পেয়ার’।

রাজ পরিবারের বিরুদ্ধে এই বইয়ে নানা অভিযোগ তুলেছেন প্রিন্স হ্যারি। শুধু তাই নয়, ৪১৬ পৃষ্ঠার বইটিতে তুলে ধরেছেন তাৎপর্যপূর্ণ নানা তথ্য। নিজের স্মৃতিকথায় ব্রিটিশ রাজ পরিবারের নানা কলহের বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশের পাশাপাশি, সামরিক বাহিনীর দায়িত্ব পালনকালে ২৫ আফগান নাগরিককে হত্যার কথা জানিয়েছেন ডিউক অব সাসেক্স।

প্রিন্স হ্যারি তার বইতে আরও লিখেছেন, মেগান ও তিনি দ্রুত একটি সন্তান নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু চাকরি ও ব্যস্ত সময়ের কারণে সেটি তাদের জন্য যথাযথ সময় ছিল না। এক পর্যায়ে মেগানের ওজন কমা নিয়ে উদ্বিগ্ন হন এই দম্পতি। মূলত বিভিন্ন ধরনের মানসিক চাপের কারণেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়। ফলে গর্ভধারণ কঠিন হয় মেগানের জন্য।

মেগান মার্কেলকে কেন্দ্র করে প্রিন্স হ্যারিকে মারধর করেন তার বড় ভাই উইলিয়াম, এমনটাও ওই বইতে জানিয়েছেন প্রিন্স হ্যারি। তিনি বলেছেন, কলার চেপে ধরে তাকে মাটিতে ফেলে দিয়েছিলেন উইলিয়াম।

২০১৮ সালে প্রিন্স হ্যারির সঙ্গে বিয়ে হয় মেগানের। নিজের চেয়ে তিন বছরের বড় মার্কিন অভিনেত্রী মেগান মার্কেলকে বিয়ের পর থেকে প্রিন্স হ্যারিকে নিয়ে আলোচনায় ভিন্ন রূপ নেয়।

২০২০ সালের প্রথমদিকে ব্রিটিশ রাজপ্রাসাদ ছাড়েন প্রিন্স হ্যারি ও মেগান। তাদের রাজপ্রাসাদ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার এমন সিদ্ধান্ত সারা বিশ্বকে নাড়া দিয়েছিল। রাজপরিবার ছেড়ে তারা প্রথমে কানাডায় যান। তারপর যান লস এঞ্জেলসে। তাদের ঘরে দুটি সন্তান রয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত