ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ইসরাইলে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

ইসরাইলে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন নতুন সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন লাখো ইসরাইলি নাগরিক। মূলত নেতানিয়াহুর নতুন সরকারের বিচার বিভাগীয় সংস্কার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে শনিবার এই বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়।

বিক্ষোভকারীরা বলেন, নতুন এই সংস্কার পরিকল্পনা ইসরাইলের চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স সিস্টেমকে হুমকির মুখে ফেলবে। গতকাল রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিচারকদের বাড়াবাড়ি রোধ করার জন্য বিচার বিভাগীয় সংস্কার পরিকল্পনা প্রয়োজন বলে দাবি করেছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন নতুন সরকার। তবে, আইনজীবীসহ অন্যান্য গোষ্ঠী এই পরিকল্পনার তীব্র বিরোধিতা করেছে এবং ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যেও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। একইসঙ্গে ইসরাইলি সমাজে এই পরিকল্পনা এরইমধ্যে গভীর রাজনৈতিক বিভাজন প্রশস্ত করেছে।

ইসরাইলের বিচার ব্যবস্থাকে সংশোধন এবং সুপ্রিমকোর্টকে দুর্বল করার একটি পরিকল্পনা সম্প্রতি উন্মোচন করেছেন নতুন ইসরাইলি বিচারমন্ত্রী। এসব সংস্কার বাস্তবায়ন হলে ইসরাইলের পার্লামেন্টের পক্ষে সুপ্রিমকোর্টের রায়গুলোকে বাতিল করা সহজ হবে।

সমালোচকরা বলছেন, নেতানিয়াহু সরকারের এই সংস্কার পরিকল্পনা ইসরাইলের বিচারিক স্বাধীনতাকে পঙ্গু করবে, দুর্নীতিকে আরও উৎসাহিত করবে, সংখ্যালঘুদের অধিকার নষ্ট করবে এবং ইসরাইলের আদালত ব্যবস্থাকে বিশ্বাসযোগ্যতা থেকে বঞ্চিত করবে।

ইসরাইলি বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান আভি চিমি বলেন, তারা আমাদের একনায়কতন্ত্রে পরিণত করতে চায়, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে চায়। তারা বিচার বিভাগীয় কর্তৃত্বকে ধ্বংস করতে চায়, বিচার বিভাগীয় কর্তৃত্ব ছাড়া কোনো গণতান্ত্রিক দেশ নেই।

বিক্ষোভকারীরা বলেন, সরকার যদি পরিকল্পনার মাধ্যমে এগিয়ে যেতে সফল হয় তাহলে বুঝতে হবে ইসরাইলি গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। কারণ এই সংস্কার বিচারিক নিয়োগের ওপর রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ কঠোর করবে এবং সরকারি সিদ্ধান্ত বা নেসেটের মাধ্যমে প্রণীত আইনগুলোকে উল্টে দেয়ার জন্য সুপ্রিমকোর্টের ক্ষমতাকে সীমিত করবে।

তারা বলছেন, বিচারকদের স্বাধীনতার হুমকি এবং সরকার ও পার্লামেন্টের তত্ত্বাবধানকে দুর্বল করার পাশাপাশি নেতানিয়াহু সরকারের এই পরিকল্পনা সংখ্যালঘুদের অধিকারকে ক্ষুণ্ন করবে এবং আরও দুর্নীতির সুযোগ উন্মুক্ত করবে। সাদা ও নীল ইসরাইলি পতাকা নিয়ে শনিবারের বিক্ষোভে অংশ নেয়া মানুষের মধ্যে ছিলেন ৬৪ বছর বয়সি আমনন মিলার। তিনি বলেন, আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি। আমাদের স্বাধীনতার জন্য ৩০ বছর এই দেশে যুদ্ধ করেছি, আমরা এই সরকারকে স্বাধীনতা কেড়ে নিতে দেব না। উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে ইসরাইলের পার্লামেন্ট নেসেটে নতুন সরকার গঠনের বিষয়টি আস্থা ভোটে পাস হয়ে যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেন নেতানিয়াহু।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত