ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

যুক্তরাষ্ট্রে একাকী জীবন ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্টের

যুক্তরাষ্ট্রে একাকী জীবন ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্টের

কিছুদিন আগেও লাতিন আমেরিকার সবচেয়ে বড় দেশটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি। নেতৃত্ব দিতেন ২১ কোটির বেশি মানুষকে। সেই লোকটিই আজ নীরবে নিভৃত জীবনযাপন করছেন কয়েক হাজার মাইল দূরে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ছোট্ট শহরে। সেখানে একা একা শপিংমলে ঘুরছেন, খাচ্ছেন। থাকছেন সাধারণ একটি বাড়িতে। প্রেসিডেন্ট আমলের সেই জাঁকজমক আর নেই তাকে ঘিরে। বলা হচ্ছে ব্রাজিলের সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট জেইর বোলসোনারোর কথা। কট্টর ডানপন্থি এ নেতা নির্বাচনে হারার পর এখন বাস করছেন ফ্লোরিডার অরল্যান্ডো শহরে। নতুন প্রেসিডেন্টের ক্ষমতাগ্রহণ সামনে রেখে গত ডিসেম্বরে ব্রাজিলের রাজধানীতে ভয়াবহ দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছিল। ওই সময় ব্রাসিলিয়ার বিভিন্ন সরকারি ভবনের দখল নেয় বোলসোনারোর সমর্থকরা। এ ঘটনায় ইন্ধন দেয়ার জন্য অনেকেই সাবেক প্রেসিডেন্টকে অভিযুক্ত করেছেন। স্বদেশে তার বিরুদ্ধে দাঙ্গায় উসকানি দেয়ার অভিযোগের তদন্ত চলছে। এর কিছুদিন আগেই অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান ৬৭ বছর বয়সি এ নেতা। ব্রাজিলের রাজকীয় প্রেসিডেন্ট প্যালেস ছেড়ে এখন ফ্লোরিডায় ডিজনি ওয়ার্ল্ড রিসোর্টের কাছে একটি ছোট্ট কমিউনিটিতে থাকছেন জেইর বোলসোনারো। ওই এলাকার বাড়িগুলোর চেহারা অনেকটা একই রকম দেখতে। যুক্তরাষ্ট্রে গত ছয় সপ্তাহ বেশ নিভৃতে কেটেছে সাবেক ব্রাজিলিয়ান প্রেসিডেন্টের। বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন ব্রাজিলের সাবেক মার্শাল আর্ট চ্যাম্পিয়ন জোসে আলডোর বাড়িতে। স্থানীয় সুপার মার্কেটে গেছেন একবার। এছাড়া কেএফসির একটি রেস্তোরাঁয় একা বসে তার ফ্রাইড চিকেন খাওয়ার দৃশ্যও দেখা গেছে। অবশ্য গত শুক্রবার নীরবতা ভেঙে মিয়ামির কাছে ট্রাম্প ন্যাশনাল হোটেলে প্রায় ৪০০ সমর্থকের সঙ্গে কথা বলেছেন বোলসোনারো। অনুষ্ঠানটি আয়োজনে তার পুরোনো মিত্র সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কোনো হাত ছিল কি না তা জানা যায়নি। এই মুহূর্তে বোলসোনারোর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিতই বলা যায়। এর আগে তিনি প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন, জানুয়ারির শেষ দিকে ব্রাজিলে ফেরার ইচ্ছা রয়েছে। তবে, সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রে আরও ছয় মাস থাকার জন্য নতুন ভিসার আবেদন করেছেন বোলসোনারো। তাছাড়া, সাবেক প্রেসিডেন্টের অন্যতম পুত্র ব্রাজিলিয়ান সিনেটর ফ্লাভিও বোলসোনারো গত সপ্তাহে জানিয়েছেন, তার বাবার স্বদেশে ফেরার দিন ঠিক নেই। তিনি বলেন, হতে পারে আগামীকাল, অথবা ছয় মাস পরে, অথবা হতে পারে তিনি কখনো ফিরলেনই না।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত