ট্রাম্পের বিচার হবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রিপাবলিকান পার্টি

প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সিনিয়র রিপাবলিকানরা। তারা বলেছেন, বিচার করলে সেটা হবে ক্ষমতার অপব্যবহার। অন্যদিকে ডেমোক্র্যাটরা বলেছেন, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। অপরাধ যেই করুক, বিচারের মুখোমুখি তাকে হতেই হবে। খবর : বিবিসি

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট গত শনিবার জানিয়েছিলেন, আগামী সপ্তাহে তিনি গ্রেপ্তার হতে পারেন। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে পর্নোতারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে মুখ বন্ধ রাখতে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে তার আইনজীবী অর্থ দিয়েছিল, বিচার সেটি নিয়ে হতে পারে।

৭৬ বছর বয়সি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আরো বেশ কয়েকটি অভিযোগের তদন্ত চলছে। যদিও তাকে এখনো কোনো অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়নি। এসবের মধ্যেই ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান মনোনীত প্রার্থী হওয়ার জন্য প্রচার চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প। তবে, তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হবে কি না, তা জানা যায়নি। সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স এবং মার্কিন কংগ্রেসের সবচেয়ে সিনিয়র রিপাবলিকান নেতা কেভিন ম্যাককার্থি ফৌজদারি মামলার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।

মার্কিন নেটওয়ার্ক এবিসি নিউজকে পেন্স বলেন, ম্যানহাটনের জেলার অ্যাটর্নি অ্যালভিন ব্র্যাগ (ডেমোক্র্যাট) ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে অভিযুক্ত মামলাগুলো চালাচ্ছেন। নিউ ইয়র্ক সিটিতে যখন একের পর এক অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে, তখন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টকে অভিযুক্ত করা নিয়ে ব্যস্ত তিনি, এ ঘটনায় আমি বিস্মিত। তিনি ব্রডকাস্টারকে বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করার ব্যাপারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন ম্যানহাটনের ডিএ (জেলা অ্যাটর্নি)।

এ ঘটনার প্রতিবাদে গত শনিবার সমর্থকদের ব্যাপক বিক্ষোভের আহ্বান জানান ট্রাম্প। বিক্ষোভের আহ্বান সম্পর্কে জানতে চাইলে পেন্স বলেন, মার্কিন নাগরিকদের শান্তিপূর্ণভাবে একত্রিত হওয়ার সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি এই তদন্তকে ‘একজন মৌলবাদী ডিএ’র ক্ষমতার একটি জঘন্য অপব্যবহার’ বলে অভিহিত করেছেন। টুইটে তিনি বলেন, রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা দিয়ে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে ফেডারেল অর্থ ব্যবহার করা হচ্ছে কি না, তা তদন্ত করা উচিত।’