ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চীনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে দ্বিধাবিভক্ত ইইউ

চীনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে দ্বিধাবিভক্ত ইইউ

চীনকে নিয়ে চিন্তা বেড়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ)। বিশেষ করে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের রাশিয়ার রাজধানী মস্কো সফরের পর। ইউক্রেনে যুদ্ধ করার জন্য চীন রাশিয়াকে অস্ত্র দিতে পারে, এমনটিও মনে করছে ইইউ।

লিথুয়ানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্যান্ডসবার্গিস বলেছেন, শি জিনপিং যদি একজন ঘোষিত যুদ্ধাপরাধীর সঙ্গে বন্ধুত্ব বাড়ান, তাহলে আমাদেরও চীনকে নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে। গত সপ্তাহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে যুদ্ধাপরাধী ঘোষণা করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট। এরপর মস্কো সফরে গিয়ে পুতিনের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেছেন শি জিনপিং।

লিথুয়ানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মনে করেন, চীনের সঙ্গে দ্রুত সম্পর্কচ্ছেদ করতে হবে। যত তাড়াতাড়ি এটা করা হয়, ততই ভালো। তবে, ইইউয়ের সব সদস্য দেশ এরকম চরম পদক্ষেপ নেয়ার পক্ষে নয়। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ইইউয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, গত কয়েক বছরে শি জিনপিং ও ভ্লাদিমির পুতিন অন্তত ৪০ বার বৈঠক করেছেন। ফলে, এখন শি জিনপিং রাশিয়া গিয়ে পুতিনের পাশে থাকার বার্তা দেবেন সেটাই স্বাভাবিক।

ইইউয়ের দেশগুলোর সাধারণ মনোভাব হলো, চীন এখন রাশিয়ার দুর্বলতার সুযোগ নিতে চাইছে। চীনসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশ এখনো ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণকে আগ্রাসন বলেনি। জাতিসংঘে চীন রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রস্তাবে ভোট দেয়নি। তারা রাশিয়ার প্রচারমূলক কথারই পুনরাবৃত্তি করেছে।

প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে চীনের সম্পর্কে কোনো সীমারেখা থাকবে না। এমনিতেই ইইউয়ের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক আগের তুলনায় খারাপ। রাশিয়ার কারণে তা আরও খারাপ হয়েছে। বেশ কয়েকটি ইইউ দেশ মনে করে, চীন এবার রাশিয়ার কাছে অস্ত্র বিক্রি করতে পারে। ইইউয়ের সেক্রেটারি জেনারেল স্টলটেনবার্গ জানিয়েছেন, চীন যে রাশিয়াকে অস্ত্র বিক্রি করতে চায়, এমন কোনো প্রমাণ তার কাছে নেই। চীন বিশেষজ্ঞ স্টেক বলেছেন, চীন এখন রাশিয়ার সঙ্গে আর্থিক কার্যকলাপ পুরোপুরি বজায় রেখেছে। রাশিয়া যে ইউক্রেনে যুদ্ধ করছে, তাকেও সমর্থন করেছে চীন। তারা রাশিয়াকে যে টায়ার, পোশাক ও অন্য জিনিস দিচ্ছে, তা রাশিয়ার সেনা ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু এখনো তারা কোনো অস্ত্র রাশিয়াকে দেয়নি। স্টেকের মতে, তাইওয়ান নিয়ে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক খারাপ হয়েছে। উইঘুর নিয়ে ইইউয়ের সঙ্গেও তাদের সম্পর্ক খারাপ হয়েছে। ফলে, চীনও চাপে আছে। ইইউ চীনের ওপর কিছু বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছে। তবে ইইউ আরও ব্যবস্থা নিলে তাদের অর্থনীতিতে চাপ বাড়বে। অবশ্য, যুক্তরাষ্ট্রের ডাকে ইইউ এখনো সাড়া দেয়নি। প্রেসিডেন্ট বাইডেন চাইছেন, চীনকে কোণঠাসা করতে ইইউ এবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হাত মেলাক। কিন্তু ইইউ এখনো সেটি থেকে বিরত রয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত