আদালতের শুনানির আগে ‘যুদ্ধের প্রস্তুতি’ ট্রাম্পের!

প্রকাশ : ০৪ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

পর্ন তারকার মুখ বন্ধ রাখতে ঘুষ দেয়ার দায়ে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে আগেই। এবার তার আদালতে হাজির হওয়ার পালা। স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার নিউইয়র্কের আদালতে শুনানির কথা রয়েছে।

আর আদালতের ওই নির্ধারিত শুনানির আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছেন’ বলে তার আইনজীবী বলেছেন। গতকাল সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের মামলার শুনানি হবে মঙ্গলবার (আজ) দুপুরে। আর সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট যখন ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো থেকে নিউইয়র্কের আদালতে যাবেন তখন তাকে ঘিরে থাকবেন মার্কিন ফেডারেল এজেন্টরা।

ট্রাম্প ফ্লোরিডা থেকে তার ব্যক্তিগত বিমানে করে নিউইয়র্কে যাবেন বলে মনে করা হচ্ছে এবং তার সুরক্ষার দায়িত্বে থাকবেন ওই এজেন্টরা। আদালতে শুনানির পর ট্রাম্প ফ্লোরিডায় ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন এবং সেখানে তিনি তার সমর্থকদের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন।

অবশ্য যে কোনো অন্যায় কাজ করার কথা বরাবরই অস্বীকার করে চলেছেন সাবেক এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট।

ট্রাম্পের আইনজীবী জো টাকোপিনা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সাবেক এই প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে যেকোনো অভিযোগের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে লড়াই করা হবে। স্থানীয় সময় রোববার এবিসি-র দিস উইক অনুষ্ঠানে টাকোপিনা বলেন, তিনি এমন একজন মানুষ যিনি এই লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হতে চলেছেন। তিনি আরো বলেন, আমরা এই লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। এবং আমি তাকে অব্যাহতি দেয়ার জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই কাজটির অপেক্ষায় আছি। সংবাদমাধ্যম বলেছে, একজন পর্ন তারকার মুখ বন্ধ রাখতে ঘুষ দেয়ার দায়ে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডেনাল্ড ট্রাম্পকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত করা হয়। ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঠিক আগে এই ঘটনা ঘটেছিল। তবে অভিযোগের বিস্তারিত এখনও প্রকাশ করা হয়নি।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি স্টর্মি ড্যানিয়েলস নামে ওই নারীর সঙ্গে তার সম্পর্ক গোপন রাখার বিনিময়ে এক লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার অর্থ প্রদান করেছেন। বিষয়টি তদন্তের পর যুক্তরাষ্ট্রের গ্র্যান্ড জুরি ট্রাম্পকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত করার পক্ষে ভোট দেয়।

৭৬ বছর বয়সি ট্রাম্প অবশ্য তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আর সব কিছু কাটিয়ে ট্রাম্পই প্রথম কোন মার্কিন প্রেসিডেন্ট যিনি দেশটিতে ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি হলেন।

মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে এক লাখ ৩০ হাজার ডলার দিয়ে মুখ বন্ধ রাখার চেষ্টাসহ ব্যবসায়িক জালিয়াতির সাথে সম্পর্কিত ৩০ টিরও বেশি অভিযোগের মুখোমুখি হবেন ট্রাম্প।

মামলার সঙ্গে পরিচিত সূত্রগুলো মার্কিন মিডিয়াকে জানিয়েছে, সাবেক এই প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে প্রথম ডিগ্রিতে ব্যবসায়িক রেকর্ড জাল করার অভিযোগ আনা হচ্ছে। এটি মূলত মার্কিন আইনের অধীনে একটি অপরাধ।