আল-আকসায় নামাজ পড়ার একক অধিকার মুসলমানদের

মন্তব্য ওআইসির

প্রকাশ : ১০ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

ফিলিস্তিনের অধিকৃত জেরুজালেমের পবিত্র আল-আকসা মসজিদে মুসল্লিদের ওপর ইসরাইলের হামলার ঘটনায় পুরো মধ্যপ্রাচ্যেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে। গত সপ্তাহে টানা দুই রাতে ইবাদত ও নামাজরত মুসল্লিদের ওপর ইসরাইলি পুলিশের এই হামলার ঘটনা ঘটে। এর পরই সরব হয়েছে ইসলামি দেশগুলোর সংগঠন অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি)। সংস্থাটি বলেছে, পবিত্র আল-আকসা মসজিদে নামাজ পড়ার একচেটিয়া অধিকার মুসলমানদের। গতকাল রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থায় (ওআইসি) শনিবার একটি যৌথ প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। এতে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, আল-আকসা মসজিদের অভ্যন্তরে নামাজ পড়ার একচেটিয়া অধিকার রয়েছে মুসলমানদের। অন্যদিকে কাতার জানিয়েছে, তারা ইসরাইল ও অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে উত্তেজনা কমাতে মধ্যস্থতা শুরু করেছে। এর আগে আল-আকসায় ফিলিস্তিনি ইবাদতকারীদের বিরুদ্ধে ইসরাইলি সহিংসতা নিয়ে গত বৃহস্পতিবার জরুরি বৈঠক করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। নিরাপত্তা পরিষদে আরব লীগের প্রতিনিধি আরব আমিরাত এবং পাঁচটি স্থায়ী সদস্য দেশের একটি চীনের আহ্বানে রুদ্ধদ্বার ওই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদমাধ্যম বলছে, আল-আকসা মসজিদের সঙ্গে সারা বিশ্বের মুসলমানদের চিরন্তন সংযুক্তির ওপর ওআইসির প্রস্তাবে জোর দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে এই প্রস্তাবটি ফিলিস্তিনের রাজধানী হিসেবে অধিকৃত পূর্ব আল-কুদসের পরিচয়কেও নিশ্চিত করেছে। দ্য ডন বলছে, প্রস্তাবে রমজান মাসে পবিত্র আল-আকসা মসজিদে বারবার ইসরাইলি দখলদার বাহিনীর হামলা এবং সন্ত্রাসী বসতি স্থাপনকারীদের বিপজ্জনক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির নিন্দা করা হয়। এছাড়া প্রস্তাবে আল আকসা মসজিদের পবিত্রতার ওপর ‘ইসরাইলি দখলদার কর্তৃপক্ষ, তাদের কর্মকর্তা এবং সন্ত্রাসবাদী বসতি স্থাপনকারীদের’ ক্রমাগত আঘাতের পরিণতি সম্পর্কেও সতর্ক করা হয়। এই ধরনের বিপজ্জনক এবং উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের পরিণতির জন্য ওআইসি ইসরাইলকে দায়ী করেছে। সংস্থাটি বলেছে, পরিস্থিতি উত্তেজিত করতে এবং ধর্মীয় সংঘর্ষ সৃষ্টির জন্য পদ্ধতিগত নৃশংস আক্রমণ, ইচ্ছাকৃত উস্কানি এবং বারবার প্ররোচনার মাধ্যমে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল।