ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সাগরে ভাসছে ১২শ’ অভিবাসনপ্রত্যাশী অবশেষে উদ্ধারে নামল ইতালি

সাগরে ভাসছে ১২শ’ অভিবাসনপ্রত্যাশী অবশেষে উদ্ধারে নামল ইতালি

উত্তাল সাগরে ভাসতে থাকা সিসিলি উপকূল থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধারে দুটি বড় ধরনের অভিযানে নেমেছে ইতালীয় কোস্টগার্ড। গত মঙ্গলবার বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে, একটি মাছ ধরার নৌকায় প্রায় ৮০০, অন্যটিতে রয়েছে ৪০০ জন।

গত শুক্রবার থেকে অবৈধ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের উদ্ধারে অভিযানে নেমেছে কোস্টগার্ড। আরো কয়েকটি অভিযানে এরই মধ্যে ২ হাজার মানুষকে উদ্ধারের কথা জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

জার্মান অলাভজনক রেসকিউশিপ জানায়, সপ্তাহান্তে নৌকা পারাপারে অন্তত দুজন মারা গেছেন। ইতালিতে এখন ডানপন্থি জোট সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে তারা। কিন্তু সাগরে পথে এমন ঢল ঠেকানোর প্রচেষ্টার পরও প্রবেশ কয়েকগুণ বেড়েছে ইতালিতে।

৪০০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী বহনকারী বড় নৌকাটি লিবিয়ার তোব্রুক থেকে যাত্রা শুরু করে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনও সহায়তায় ছাড়াই সাগরে ভাসছে বলে খবর পাওয়া গেছে। জার্মান বেসরকারি সংস্থা সি ওয়াচ ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, দুটি বণিক জাহাজকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল, নৌকাটি মাল্টার জলসীমায় থাকা অবস্থায় উদ্ধারে সাহায্য না করতে। গত রোববার সকালের দিকে সমুদ্রে দুর্ঘটনার কবলে পড়া অভিবাসীদের সহায়তা দেয়া অ্যালার্ম ফোন জানিয়েছিল, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহনকারী নৌকাটি লিবিয়ার তোব্রুক থেকে যাত্রা শুরুর পর ভাসতে থাকে। অতিরিক্ত যাত্রী ও নৌকায় পানি এবং জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়ায় বিপদে পড়ে। এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে কয়েকবার অনুরোধ করা হলেও সাড়া দেয়নি মাল্টা কর্তৃপক্ষ। ইতালীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী সিসিলি দ্বীপের সিরাকুসা থেকে ১২০ মাইল দক্ষিণ-পূর্ব দিকের সাগরে অপর এক অভিযানে ৮০০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে বহনকারী একটি মাছ ধরার নৌকাকে সহায়তা দিয়েছে। বিবৃতিতে উপকূলরক্ষী বাহিনী জানায়, নৌকায় অনেকে থাকায় উদ্ধার অভিযান কঠিন হয়ে পড়েছে। এসব অভিবাসী প্রত্যাশীদের পরিচয় এখনো জানাতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থার (আইওএম) তথ্যমতে, ২০১৪ সাল থেকে ভূমধ্যসাগর হয় অবৈধ উপায়ে ঝুঁকি নিয়ে ইউরোপ যাওয়ার পথে ২৬ হাজারের বেশি মানুষ নিখোঁজ অথবা মারা গেছেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত