ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

যুদ্ধবিরতির পরও লড়াই থেমে নেই সুদানে

যুদ্ধবিরতির পরও লড়াই থেমে নেই সুদানে

সুদানে সেনা ও আধা সামরিক বাহিনীর মধ্যে টানা চারদিনের ভয়াবহ লড়াই বন্ধে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় উভয়পক্ষ। কিন্তু যুদ্ধবিরতি কার্যকরের কয়েক ঘণ্টা পরও রাজধানী খার্তুমে ভারি লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে। আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীদের সহায়তায় স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় সেনা ও আধা সামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ)। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পরও খার্তুমের বিভিন্ন জায়গায় প্রচণ্ড গোলাবর্ষণের খবর জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। আন্তর্জাতিক সম্প্রচারমাধ্যমেও একই চিত্র দেখা গেছে। যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনে একে অপরকে দোষারপ করে পাল্টপাল্টি বিবৃতিতে দিয়েছে সেনাবাহিনী ও আরএসএফ। এ অবস্থায় সেনাবাহিনীর শীর্ষপর্যায় থেকে জানানো হয়েছে, তারা রাজধানী এবং অন্যান্য অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে যাবে। এদিকে নিউ ইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিখ বলেছেন, আমরা এমন কোনও ইঙ্গিত পাইনি যে আসলে সেখানে যুদ্ধ থামানো গেছে। সুদানের সামরিক নেতা ও সামরিক কাউন্সিলে তার সহকারীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চার দিন আগে শুরু হয়েছিল। দেশটির ক্ষমতাচ্যুত নেতা বশিরের পতনের পর থেকেই পরিস্থিতি আরও অবনিত হতে দেখা গেছে। মূলত ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে সেনা ও আরএসএফের মধ্যে নতুন করে লড়াই শুরু। দুই পক্ষের মধ্যে এমন লড়াইকে মানবিক বিপর্যয়ের শুরু হিসেবে বর্ণনা করেছে জাতিসংঘ। নতুন করে সংঘাতে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির তিনজন কর্মী এরই মধ্যে নিহত হয়েছেন। অনেক বিদেশি স্বেচ্ছাসেবী ও ত্রাণ সংস্থা দেশটিতে স্বাভাবিক কার্যক্রম সাময়িক সময়ের জন্য স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে। জাতিসংঘের তথ্য মতে, কয়েক দিনের লড়াইয়ে অন্তত ১৮৫ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। তবে নিহতের সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রক্তক্ষয়ী লড়াই বন্ধ করে আলোচনায় বসতে বিবদমানপক্ষগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন। জাপানে সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মঙ্গলবার এক বক্তব্য বলেছিলেন, তিনি দুই প্রতিদ্বন্দী নেতা আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং আরএসএফ নেতা জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালোর সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেছেন। দুইজনকে যুদ্ধবিরতির কথা বলেছেন। সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং দেশটির আধাসামরিক গোষ্ঠী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালোর মধ্যে লড়ই শুরু হয়েছে। ২০২১ সালের অক্টোবরে অভ্যুত্থানের পর থেকে সুদান একটি জেনারেল কাউন্সিল দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। বিরোধের কেন্দ্রে দুইজন সামরিক ব্যক্তি রয়েছেন, যারা এখন একে অপরকে যেকোনো মূল্যে পরাস্ত করতে চাইছেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত