ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মানহানি মামলা

সাজা স্থগিত চেয়ে রাহুল গান্ধীর করা আবেদন খারিজ

সাজা স্থগিত চেয়ে রাহুল গান্ধীর করা আবেদন খারিজ

‘মোদি পদবী’ নিয়ে দায়েরকৃত মামলায় আদালতে আবারো বড় ধাক্কার মুখে পড়েছেন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি ও দলটির অন্যতম শীর্ষস্থানীয় নেতা রাহুল গান্ধী। মানহানি মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। দুই বছরের সাজাও দেয়া হয়েছিল এই কংগ্রেস নেতাকে।

তবে, সেই সাজা স্থগিত চেয়ে করা রাহুলের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। এর অর্থ হলো- রাহুল গান্ধীকে আপাতত সংসদ সদস্য পদে পুনর্বহাল করা যাবে না। গতকাল বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, মানহানি মামলায় কংগ্রেসের অন্যতম শীর্ষ এই নেতাকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল গুজরাটের আদালত। ২ বছরের সাজা দেয়া হয়েছিল তাকে। আর সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই সম্প্রতি সুরাট আদালতে মানহানি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার সাজার ওপরে স্থগিতাদেশ জারির জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি।

তবে, গতকাল বৃহস্পতিবার সুরাটের দায়রা আদালত রাহুল গান্ধীর সেই আবেদন খারিজ করে দেয়।

২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্নাটকের কোলারে নির্বাচনী প্রচারণার সময় মোদি পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেছিলেন, সব চোরের পদবিই মোদি হয় কেন? তা সে নীরব মোদিই হোক বা ললিত মোদি কিংবা নরেন্দ্র মোদি।

রাহুল গান্ধীর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই সুরাটের বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদি মানহানির মামলা দায়ের করেন। গত ২৩ মার্চ গুজরাটের সুরাট ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ওই মানহানি মামলায় রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করেন এবং ২ বছরের কারাদণ্ড দেন। ফৌজদারি মানহানি মামলায় রাহুলের ২ বছরের সাজা হওয়ার পরদিনই লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা রাহুল গান্ধীর সংসদ সদস্য পদ খারিজ করেন। ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮(৩) নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এই পদক্ষেপ নেন স্পিকার। এরপর সুরাট আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে গত ৩ এপ্রিল সুরাটের দায়রা আদালতে আবেদন করেন রাহুল গান্ধী। আদালতের বিচারক সেই আবেদন গ্রহণ করে রাহুল গান্ধীর জামিন বহাল রাখার নির্দেশ দেন। তবে, রাহুলকে দোষী সাব্যস্ত করা রায়ের ওপরে স্থগিতাদেশ দেয়া হয়নি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত