আগামী মাসে ভারত যাচ্ছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ : ২১ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

আগামী মাসে ভারতে যাচ্ছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) নামে একটি আঞ্চলিক জোটের বৈঠকে অংশ নিতে আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশটিতে যাবেন তিনি।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী মে মাসে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দেবেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। আগামী ৪ ও ৫ মে এ বৈঠক ভারতে অনুষ্ঠিত হবে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তথ্যটি নিশ্চিত করেছে। আঞ্চলিক রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা ব্লক এসসিও’তে সদস্য হিসেবে অন্য দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়া, চীন, ভারত এবং পাকিস্তানও রয়েছে। ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূলীয় রাজ্য গোয়ায় এসসিও পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ২০১৪ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পর প্রথম কোনো পাকিস্তানি নেতা হিসেবে ৪ মে ভারত সফর করবেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো।

অন্যদিকে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানিয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি আগামী মাসে ভারতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) বৈঠকে যোগ দেবেন বলে বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরাহ বালোচ গতকাল বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বলেছেন, বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি ভারতের গোয়ায় ৪ থেকে ৫ মে অনুষ্ঠিতব্য এসসিও কাউন্সিল অব ফরেন মিনিস্টারস (সিএফএম)-এ পাকিস্তানের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন।

তিনি বলেন, এসসিও সিএফএম’র বর্তমান চেয়ারম্যান এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের আমন্ত্রণে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো ওই সভায় যোগ দেবেন। তিনি আরো বলেন, এসসিওর প্রতি আমাদের দীর্ঘদিনের প্রতিশ্রুতি বজায় রেখে এসসিও বৈঠকে অংশগ্রহণ অব্যাহত রেখেছে পাকিস্তান।

এসসিওতে বর্তমানে আটটি সদস্য রাষ্ট্র রয়েছে। তারা হলো- চীন, ভারত, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, রাশিয়া, পাকিস্তান, তাজিকিস্তান এবং উজবেকিস্তান। এই সংস্থার চারটি পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র হলো- আফগানিস্তান, বেলারুশ, ইরান এবং মঙ্গোলিয়া। এই চারটি দেশই অবশ্য এসসিও’র পূর্ণ সদস্যপদ পেতে আগ্রহী।

উল্লেখ্য, ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে পাকিস্তান ও ভারত তিনটি যুদ্ধ করেছে। এর মধ্যে বিতর্কিত কাশ্মির অঞ্চল ছিল উভয় দেশের দুটি যুদ্ধের মূল কারণ। অবশ্য ভারত-শাসিত কাশ্মিরে কয়েক দশক ধরে চলা বিদ্রোহের জন্য পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করে থাকে নয়াদিল্লি। তবে ভারতের এই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে পাকিস্তান।

২০১৯ সালের শেষ দিকে ভারত-শাসিত কাশ্মিরে আবার উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময় ভারত একতরফাভাবে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসিত মর্যাদা বাতিল করে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেন, নয়াদিল্লির এই পদক্ষেপের ফলে সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। মূলত ভারতের সেই পদক্ষেপের পর থেকে ইসলামাবাদ ও নয়াদিল্লির মধ্যে আনুষ্ঠানিক আলোচনা স্থগিত রয়েছে। যদিও কূটনীতির মাধ্যমে নানা সময়ে পর্দার পেছনে আলোচনা পুনরায় শুরু করার কিছু প্রচেষ্টা করা হয়েছে।