ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

হামলা বন্ধ না হলে শান্তি সংলাপ নয় : আরএসএফ

হামলা বন্ধ না হলে শান্তি সংলাপ নয় : আরএসএফ

সুদানে চলমান রক্তক্ষয়ী লড়াই থামার কোনও আলামত এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। হামলা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত সুদানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে কোনও আলোচনা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বেসামরিক বাহিনী আরএসএফের প্রধান জেনারেল মো. হামদান দাগালো (হেমেদতি)। গত কয়েকদিনের লড়াই নিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির সঙ্গে ফোনালাপে এ কথা বলেন তিনি।

সুদানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে কত কয়েদিন বেসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট আরএসএফের সংঘর্ষ চলছে। এই সশস্ত্র আরএসএফের নেতৃত্বে রয়েছেন ক্ষমতাধর জেনারেল হামদান দাগালো। সুদানের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে সেনা ও আরএসেফের মধ্যে এই সংঘাত।

সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বিবিসির সঙ্গে আলাপচারিতায় আরএসএফের নেতা হেমেদতি বলেন, তিনদিনের যুদ্ধবিরতির মধ্যেও সেনাবাহিনী বিরতিহীন বোমাবর্ষণ করে যাচ্ছে। এর জন্য সেনাপ্রধান জেনারেল আব্দেল ফাত্তাহ আল-বুরহানকে দায়ী করে তিনি বলেন, আমরা সুদানকে ধ্বংস করতে চাই না। তবে, লড়াই বন্ধে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে দক্ষিণ সুদানে মুখোমুখি আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছেন জেনারেল বুরহান। সেনা ও আরএসএফের রক্তক্ষয়ী সংঘাত থামাতে কয়েকদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ, ইউরোপের দেশগুলো ব্যাপকভাবে চাপ সৃষ্টি করে আসছে। পাশাপাশি সুদানে থাকা কূটনীতিক ও বিদেশি নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে নিজ নিজ দেশগুলো।

ফোনে বিবিসির সঙ্গে কথা বলার সময় হেমেদতি আরও বলেন, আলোচনার পথ খোলা ছিল, তার জন্য যুদ্ধবিরতি বজায় রাখতে রাখা উচিত। শত্রুতা বন্ধ করুন। এরপর আমরা আলোচনা করতে পারি। জেনারেল বুরহানের সঙ্গে কোনও ব্যক্তিগত সমস্যা নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সুদানে গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় লড়াইয়ে পাঁচ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হন ৪ হাজারের বেশি। বাস্তুচ্যুত কয়েক লাখ মানুষ।

এনএইচএস চিকিৎসকদের সুদান ছাড়ার অনুমতি

এদিকে, সুদান ইস্যুতে আগের নীতি থেকে সরে এসেছে ব্রিটিশ সরকার। ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের (এনআইচএস) সুদানে অবস্থানরত চিকিৎসকদের ফ্লাইট ধরতে বলেছে লন্ডন। এর আগে ব্রিটিশ নাগরিক না হওয়ায় ২০ জনের বেশি এনএইচএস চিকিৎসককে ব্রিটেনে আসার অনুমতি দেয়নি ব্রিটিশ সরকার- যদিও তাদের যুক্তরাজ্যের ওয়ার্ক পারমিট রয়েছে। সুদান থেকে যুক্তরাজ্যের শেষ উদ্ধার ফ্লাইটের কয়েক ঘণ্টা আগে এই পরিবর্তন এলো।

সুদানের সামরিক নেতৃত্বের মধ্যে ক্ষমতার লড়াইয়ের কারণে দুই সপ্তাহ আগে রাজধানী খার্তুমে সংঘাত শুরু হয়। এমন পরিস্থিতিতে শহরে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিচ্ছে সরকারগুলো। সংঘাত বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও, বিবদমানরা তা মানেনি। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে যুক্তরাষ্ট্রও বাসে করে বেসামরিক লোকদের সরিয়ে নেয়া শুরু করেছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম অনুসারে, অন্তত ৩০০ জনকে নিয়ে একটি বহর খার্তুম ছেড়ে উপকূলীয় শহর পোর্ট সুদানের দিকে এগোচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, সুদান থেকে সাধারণ আমেরিকানদের প্রথমে স্থানান্তর করা হচ্ছে।

গৃহযুদ্ধে বিপর্যস্ত সুদান ছাড়তে আগ্রহী ব্রিটিশ নাগরিক এবং এনআইচএস চিকিৎসকদের দ্রুত ওয়াদি সিডনা এয়ারফিল্ডে পৌঁছানোর সময় বেঁধে দিয়েছে সরকার। শেষ ফ্লাইটটি বাংলাদেশ সময় শনিবার মধ্যরাতে ছাড়বে।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত এক হাজার ৫৭৩ লোককে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত