ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

এবার যুক্তরাষ্ট্র-দ. কোরিয়াকে কিমের বোনের হুঁশিয়ারি

এবার যুক্তরাষ্ট্র-দ. কোরিয়াকে কিমের বোনের হুঁশিয়ারি

উত্তর কোরিয়াকে ঠেকাতে কয়েকদিন আগে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া যে জোট করেছে তা নিকট ভবিষ্যতে গুরুতর বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং।

উত্তর কোরিয়ার সরকারি বার্তাসংস্থা কেসিএনএকে কিম ইয়ো জং বলেন, আত্মরক্ষার অধিকার সবারই আছে। শত্রুরা পারমাণবিক যুদ্ধের জন্য যত প্রস্তুত হবে, কোরিয়া উপদ্বীপের আশেপাশে যত বেশি পরমাণু অস্ত্র মোতায়েন করবে— আমাদের আত্মরক্ষার প্রস্তুতিও তত জোরদার হবে। গত প্রায় এক বছর ধরে কোরিয়া সাগরে একের পর এক স্বল্প-মাঝারি ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ছে উত্তর কোরিয়া। এর জেরে সৃষ্ট জাতীয় নিরাপত্তাজনিত চাপ মোকাবিলায় সহযোগিতা চাইতে গত ২৫ এপ্রিল এক সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্রে যান দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়োল। রাজধানী ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করে দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা চুক্তিও স্বাক্ষর করেন তারা। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী দক্ষিণ কোরিয়ার জলসীমায় পরমাণু অস্ত্র সজ্জিত সাবমেরিন মোতায়েন রাখবে যুক্তরাষ্ট্র এবং উত্তর কোরিয়ার জন্য যদি কোনো পরমাণু অস্ত্র তৈরির প্রকল্প গ্রহণ করে দেশটি, সেক্ষেত্রে দক্ষিণ কোরিয়াকে তাতে যুক্ত করা হবে। বিনিময়ে দক্ষিণ কোরিয়া নিজস্ব উদ্যোগে কোনো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেন ইয়ুন সুক ইয়োল। কেসিএনএকে কিম ইয়ো জং বলেন, উত্তরপূর্ব এশিয়া অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার নামে যদি সত্যি তারা (যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া) এ ধরনের (পারমাণু অস্ত্র সংক্রান্ত) কোনো পদক্ষেপ নেয়, সেক্ষেত্রে বিশ্বের শান্তি ও স্থিতিশীলতায় গুরুতর বিপদ দেখা দেবে। ২৭ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়া চুক্তি স্বাক্ষরের কয়েক ঘণ্টা পরেই সতর্কবার্তা দিয়েছিল চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, ইচ্ছাকৃতভাবে উত্তেজনা উস্কে দেয়া, সংঘাতের উসকানি বা হুমকি-ধামকি দেওয়ার পরিবর্তে সবার উচিত— শান্তিপূর্ণ ও গঠনমূলকভাবে কোরিয়া উপদ্বীপের দুই দেশ উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যকার যাবতীয় সমস্যার সমাধান করা।

চীনের পর এবার হুঁশিয়ারি দিলেন উত্তর কোরিয়ায় ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির জেষ্ঠ্য সদস্য কিম ইয়ো জং। বর্তমানে উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতা কাঠামোতে তার অবস্থান দেশটির শীর্ষ নেতা কিম জং উনের পরেই। বড়ভাই কিম জং উনের ওপরও তার প্রভাব ব্যাপক।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত