মধ্যপ্রাচ্যের পারমাণবিক শক্তিসমৃদ্ধ দেশ ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি গতকাল বুধবার দুই দিনের সফরে সিরিয়ার দামেস্কে পৌঁছেছেন। দেশটিতে গৃহযুদ্ধ বাধার পরই এটিই ইরানের কোনো রাষ্ট্রপ্রধানের প্রথম সফর। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সঙ্গে ‘বিরল’ বৈঠকে অংশ নিতে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে সফর করছেন ইব্রাহিম রাইসি।
২০১১ সালে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে আন্দোলন শুরু করেন বিরোধীরা। যা পরবর্তীতে রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। বাশার আল-আসাদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে শুরু থেকেই তাকে সহায়তা করেছে ইরান। প্রেসিডেন্ট আসাদ ও তার সরকারি বাহিনীকে সহায়তার জন্য সিরিয়ায় ইরান নিজেদের অসংখ্য সামরিক উপদেষ্টা এবং মধ্যপ্রাচ্য থেকে কয়েক হাজার যোদ্ধাকে পাঠিয়েছে। তাদের কারণে গত কয়েক বছর ধরে আবারো সিরিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সরকারি বাহিনী। দুই দিনের সফরে ইরানের প্রেসিডেন্ট সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতামূলক চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন বলে জানিয়েছে দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। এছাড়া ইরানের প্রেসিডেন্ট সাঈদা জয়নব ও সাঈদা রুকাইয়ার মাজার পরিদর্শনে যাবেন। শিয়া মুসলিমদের কাছে এ দুটি জায়গা পবিত্র হিসেবে বিবেচিত। এছাড়া গৃহযুদ্ধে নিহত সিরিয়ার সেনাদের জন্য তৈরি একটি স্মৃতিস্তম্ভও পরিদর্শন করবেন ইব্রাহিম রাইসি। এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে আবারও সিরিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের ইঙ্গিত দিয়েছে সৌদি আরব, মিসরসহ মধ্যপ্রাচ্যের আরো কয়েকটি দেশ। এমন সময়ই সিরিয়ায় গেলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট। রাইসির আগে সর্বশেষ ইরানিয়ান প্রেসিডেন্ট হিসেবে ২০১০ সালে সিরিয়া সফরে গিয়েছিলেন মাহমুদ আহমাদিনেজাদ।