ইসরাইলি অভিযানে তিন ফিলিস্তিনি নিহত

ইসরাইলি অভিযানে কমপক্ষে তিন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো চার ফিলিস্তিনি। উত্তরাঞ্চলীয় নাবলুস শহরে ওই অভিযান চালানো হয়। সে সময় ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে ইসরাইলি বাহিনী। খবর আলজাজিরার।

ইসরাইলি বাহিনীর হাতে তিনজনের নিহত হওয়ার বিষয়টি গতকাল বৃহস্পতিবার ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে। মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রচণ্ড গোলাগুলির কারণে নিহত দুজনের মুখ সম্পূর্ণ বিকৃত হয়ে গেছে। তাদের শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দা বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, নিহতদের মধ্যে দুজন গত ৭ এপ্রিল জেরিকোর উত্তরে একটি বন্দুক হামলার সঙ্গে জড়িত। ওই সময় বন্দুকধারীরা একটি গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালালে ইসরাইলি দুই বোন মারা যান। তার মা ওই ঘটনায় আহত হন। পরে তিনিও মারা যান। নাবলুসের ওল্ড সিটিতে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, ইসরাইলি অভিযানের সময় চারজনকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীসহ কমপক্ষে ১৫০ জন টিয়ার গ্যাসের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন।

হামলার প্রতিক্রিয়ায় নাবলুসের রাজনৈতিক দলগুলো গতকাল বৃহস্পতিবার শহরে সাধারণ ধর্মঘট ঘোষণা করেছে। ২০২৩ সালে ইসরাইলি সেনাবাহিনী এবং বসতি স্থাপনকারীদের হাতে কমপক্ষে ১১০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ২০ জনই শিশু।

এর মধ্যে ৪৪ বছর বয়সি ফিলিস্তিনি বন্দি শেখ খাদের আদনানও রয়েছেন। নির্বিচারে আটকের বিরুদ্ধে অনশন করছিলেন তিনি। প্রায় ৮৭ দিন অনশনে থাকার কারণে মৃত্যু হয় তার।

গত ৫ মার্চ তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং সামরিক বিচারের অপেক্ষায় ছিলেন তিনি। এই ঘটনায় অধিকৃত পশ্চিম তীরে ব্যাপক বিক্ষোভের ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সশস্ত্র প্রতিরোধ গোষ্ঠী ইসরাইলের ওপর রকেট হামলা চালায়। এছাড়া গাজা উপত্যকায় গত মঙ্গলবার রাতে হাশেল মুবারাক নামে ৫৮ বছর বয়সি এক ফিলিস্তিনি ইসরাইলি হামলায় নিহত হয়েছেন।

এদিকে বিচারব্যবস্থা সংস্কারের প্রতিবাদে ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিবে বিক্ষোভ করেছে সাধারণ মানুষ। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কট্টোর ডানপন্থি সরকার ও দেশের বিচারব্যবস্থা সংস্কারের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে গত ২২ এপ্রিল বিপুলসংখ্যক ইসরাইলি নাগরিক বিক্ষোভ করে।