ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কঙ্গোতে আকস্মিক বন্যায় মৃত্যু অন্তত ১৭৬ জনের

কঙ্গোতে আকস্মিক বন্যায় মৃত্যু অন্তত ১৭৬ জনের

ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোয় আকস্মিক বন্যায় অন্তত ১৭৬ জন মারা গেছেন হয়েছেন। দক্ষিণ কিভু প্রদেশে মুষলধারে বৃষ্টির কারণে গত বৃহস্পতিবার বুশুশু এবং নিয়ামুকুবি গ্রামে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। প্রাদেশিক সরকার এক বিবৃতিতে এ খবর জানিয়েছে। দক্ষিণ কিভুর গভর্নর থিও এনগওয়াবিদজে কাসি বলেন, ১৭৬ জন মারা গেছেন। অনেকেই নিখোঁজ আছেন। তবে, স্থানীয় নাগরিক সমাজের সদস্য কাসোল মার্টিন বলেছেন, এরই মধ্যে ২২৭টি মরদেহ পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, মানুষ খোলা আকাশের নিচে ঘুমাচ্ছে। বন্যায় স্কুল এবং হাসপাতাল ভেসে গেছে।

দক্ষিণ কিভুতে বন্যা এবং ভূমিধস একটি অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। এ ধরনের বিপর্যয় আগেও দেখেছে অঞ্চলটির বাসিন্দারা। ২০১৪ সালের অক্টোবরে ভারি বর্ষণে ৭০০টিরও বেশি বাড়ি ধ্বংস হয়েছিল। জাতিসংঘের মতে, ওই সময় ১৩০ জনেরও বেশি লোক নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ভারি বৃষ্টি ও বন্যার কারণে দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। গত মাসে উত্তর কিভু প্রদেশে ভূমিধসের একদিন পর অন্তত ২১ জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন নিখোঁজ হন। ডিসেম্বরে রাজধানী কিনশাসায় বৃষ্টির কারণে অন্তত ১৬৯ জনের মৃত্যু হয়।

একাধিক সশস্ত্রগোষ্ঠীর মধ্যে কয়েক দশক ধরে চলা সহিংসতা পূর্ব ডিআরসিতে বন্যা চলমান মানবিক সংকটকে বাড়িয়ে দিয়েছে। জাতিসংঘের সাম্প্রতিক গণনা অনুসারে, অঞ্চলটি ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে কমপক্ষে ১২২টি বিদ্রোহীগোষ্ঠীর লড়াইয়ে জর্জরিত হয়েছে। ফলস্বরূপ, লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের জুনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ডিআরসিতে ৫৫ লাখেরও বেশি মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে; যা বিশ্বের তৃতীয়-সর্বোচ্চ সংখ্যা। আরো ১০ লাখ মানুষ দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। দেশটির ২ কোটি ৭০ লাখ মানুষ চরম খাদ্য সংকটে রয়েছে বলেও একাধিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত