ভারত ও জাপান সফরে জেলেনস্কি

প্রকাশ : ২১ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে প্রথমবারের মতো সাক্ষাৎ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গতকাল শনিবার জাপানের হিরোশায় জি-৭ সম্মেলনের ফাঁকে তারা দুজন সাক্ষাৎ করেন। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে রাশিয়ার আকস্মিক হামলার পর এই দুই নেতা প্রথম মুখোমুখি বৈঠক করলেন। এর আগে তাদের মধ্যে ভার্চুয়ালি আলাপ হয়েছে। এদিকে নরেন্দ্র মোদির কার্যালয় থেকে তাদের দুজনের বৈঠকের ছবি শেয়ার করা হয়েছে। ওই বৈঠকে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালও উপস্থিত ছিলেন। এর আগে জি-৭ সম্মেলনে যোগ দিতে গতকাল সকালে জাপানের উদ্দেশ্যে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। জাপান সফর শেষে তিনি পাপুয়া নিউ গিনি এবং অস্ট্রেলিয়ায় সফর করবেন।

চলতি বছর জি-৭ সম্মেলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে জাপান। এই সম্মেলনে যোগ দিতে টোকিওর আমন্ত্রণে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা বর্তমানে জাপানে অবস্থান করছেন। গত মাসে ইউক্রেনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমিন দাপারোভা ভারত সফর করেন। দেশটিতে সংঘাত শুরু হওয়ার পর প্রথমবারের মতো ইউক্রেনের কোনো শীর্ষ কর্মকর্তার এটাই প্রথমবারের মতো ভারত সফর ছিল। সে সময় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির একটি চিঠি মোদির কাছে পৌঁছে দেন দাপারোভা।

জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী মোদি জানান, ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যকার সংঘাত একমাত্র আলোচনা এবং কূটনৈতিক উপায়েই সমাধান করা সম্ভব। এক্ষেত্রে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যে কোনো প্রচেষ্টার জন্য প্রস্তুত রয়েছে ভারত।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জাপান, ফ্রান্স, ইতালি ও জার্মানিকে নিয়ে গঠিত জি-৭ জোটের অন্য নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন জেলেনস্কি। ‘দখলদার’ রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্ভাব্য পাল্টা আক্রমণ চালানোর জন্য এসব দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের কাছে আরো অস্ত্র সহায়তা চাইবেন তিনি। এদিকে, ইউক্রেনকে অত্যাধুনিক এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দেওয়ার ক্ষেত্রে পশ্চিমা মিত্রদের অনুমোদনের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শক জ্যাক সুলিভান বলেছেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শুক্রবার জি-৭ নেতাদের বিষয়টি জানিয়েছেন। সুলিভান বলেন, এ যুদ্ধবিমান পরিচালনার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভের পাইলটদের প্রশিক্ষণ দেবে। এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। এর আগে জি-৭ জোটের দেশগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। রাশিয়ার ‘ওয়ার মেশিন’, লাভজনক হীরা বাণিজ্য ও ইউক্রেনে পরিচালিত সামরিক অভিযানের সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েকটি সংস্থা এ সংস্থার নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। গত শুক্রবার জাপানে জোটের সম্মেলনে এসব নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়।