ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চীন গুপ্তচর ঘাঁটি তৈরি করবে কিউবায়

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের তথ্য
চীন গুপ্তচর ঘাঁটি তৈরি করবে কিউবায়

মার্কিন মিডিয়া রিপোর্টের বরাত দিয়ে গতকাল শুক্রবার এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে কিউবায় গুপ্তচর ঘাঁটি তৈরি করতে চলেছে চীন। এ লক্ষ্যে কিউবার সঙ্গে একটি গোপন চুক্তিতেও পৌঁছেছে এশিয়ার পরাশক্তি এই দেশটি। যেখানে এই ঘাঁটি নির্মাণ করা হবে সেখান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার দূরত্ব মোটামুটি ১০০ মাইল।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ফ্লোরিডা থেকে প্রায় ১০০ মাইল (১৬০ কিমি) দূরে অবস্থিত দ্বীপে ইলেকট্রনিক ইভসড্রপিং স্থাপনা প্রতিষ্ঠার জন্য চীন কিউবার সঙ্গে একটি গোপন চুক্তিতে পৌঁছেছে বলে প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র এবং কিউবান সরকার এই প্রতিবেদন সম্পর্কে দৃঢ় সন্দেহ প্রকাশ করেছে।

গোপন গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এই প্রতিবেদন সামনে এনেছে। কিউবার সঙ্গে চীনের গোপন চুক্তির বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য জানেন এমন মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি বলছে, এই ধরনের গুপ্তচর স্থাপনা তৈরি করা গেলে দক্ষিণ-পূর্ব যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইলেকট্রনিক যোগাযোগের তথ্য সংগ্রহ করার সক্ষমতা চীনের হাতে চলে যাবে।

আর যুক্তরাষ্ট্রের ওই এলাকায় বহু মার্কিন সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। একইসঙ্গে কিউবার আশপাশের এলাকায় জাহাজের চলাচলও পর্যবেক্ষণ করতে পারবে বেইজিং। অবশ্য হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি রয়টার্সকে বলেছেন, আমরা এই রিপোর্টটি দেখেছি। এটা সঠিক নয়।

এছাড়া মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যাট্রিক রাইডার বলেছেন: চীন এবং কিউবার নতুন ধরনের গোয়েন্দা স্টেশন তৈরি করার বিষয়ে আমরা অবগত নই। কিউবার সহকারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্লোস ফার্নান্দেজ ডি কসিও ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এই রিপোর্টটিকে ‘সম্পূর্ণভাবে জঘন্য এবং ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। ওয়াশিংটনে চীনা দূতাবাসের একজন মুখপাত্র বলেছেন: আমরা এই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই এবং ফলস্বরূপ আমরা এখনই মন্তব্য করতে পারছি না।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলেছে, যে গুপ্তচর ঘাঁটির কথা শোনা যাচ্ছে তার প্রস্তাবিত অবস্থান বা সেটির নির্মাণ শুরু হয়েছে কিনা সে সম্পর্কে আরও বিশদ তথ্য দিতে অস্বীকার করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে চীন সফর করার পরিকল্পনা করছেন এবং এই চুক্তি তার সেই সফর নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত