ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রাস্তায় পড়ে থাকা মৃতদেহগুলো নিয়ে বিপাকে সুদান

রাস্তায় পড়ে থাকা মৃতদেহগুলো নিয়ে বিপাকে সুদান

সুদানে সামরিক ও আধা-সামরিক বাহিনীর সংঘাত থামছেই না। দেশটির রাজধানী খার্তুমের দখল নিয়ে চলা লড়াইয়ের কারণে শহরের বাসিন্দারা এমন এক সমস্যার মধ্যে পড়েছেন যা তারা আগে কল্পনাও করেননি। শহরের রাস্তায় রাস্তায় যেসব মৃতদেহ পড়ে আছে সেগুলোর ব্যাপারে তারা কী করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না। খার্তুমের একজন বাসিন্দা জানান, আমি তিনজনকে তাদের নিজেদের বাড়ির ভেতরে কবর দিয়েছি, আর বাকিদের কবর দিয়েছে আমি যে রাস্তায় থাকি তার প্রবেশ মুখে। তিনি আরো বলেন, একটা কুকুর কামড়ে কামড়ে মৃতদেহ খাচ্ছে- ঘরের দরজা খুলে এই দৃশ্য দেখার চেয়ে এটা ভালো ব্যবস্থা। যুদ্ধে এখন পর্যন্ত কত মানুষ মারা গেছে এই হিসাব কেউ জানে না। কয়েক দফার যুদ্ধবিরতির পরেও রাজধানীর লোকজনের জন্য ঘর থেকে বের হয়ে কবরস্থানে যাওয়া অনেক বেশি বিপদজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কম করে হলেও ২০ জনকে কবর দিয়েছেন বলে জানান তিনি। বলেন, আমার এক প্রতিবেশী তার বাড়িতে নিহত হয়েছে। আমি কিছু করতে পারিনি। তবে তার বাড়ির মেঝের সিরামিক টাইলস উঠিয়ে সেখানে একটা কবর খুঁড়ে তাকে মাটিচাপা দিয়েছি। আমি কী বলতে পারি? খার্তুমের কিছু কিছু এলাকা এখন কবরস্থানে পরিণত হচ্ছে। তবে খার্তুমের একজন ডাক্তার সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, অনিরাপদ উপায়ে মৃতদেহ কবর দেয়ার কারণে অসুখ বিসুখও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

তিনি বলেন, মৃতদেহ যদি খুব বেশি গভীরে চাপা না দেয়া হয়, তাহলে বেওয়ারিশ কুকুরএগুলো উপরে তুলে ফেলতে পারে। এখানে কবর দেয়ার সঠিক পদ্ধতি প্রয়োগ করা হচ্ছে না। মৃতদেহ যাতে কবর থেকে তোলা না যায় সেজন্য কবরের ভেতরে কঠিন বস্তু অথবা ইট দিতে হবে। রেড ক্রসের একজন স্বেচ্ছাসেবী তিনি রাস্তা থেকে মৃতদেহ তুলে নেয়ার কাজ করছেন। তিনি বলেন, আমি মুখ ও দেহের ছবি তুলি, লোকটি কি খুব সম্প্রতি মারা গেছে নাকি মরদেহটি পচে গেছে সেটা রেকর্ড করে রাখি এবং মৃতদেহটিকে একটি নম্বর দিয়ে চিহ্নিত করি। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে যাতে নিহত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা যায় সেজন্য প্রত্যেকটি মরদেহের ব্যাপারে আলাদা আলাদা ফাইল সংরক্ষণ করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত