ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বিশ্বে ১১ কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত জাতিসংঘের উদ্বেগ

বিশ্বে ১১ কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত জাতিসংঘের উদ্বেগ

বিশ্বজুড়ে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতের সংখ্যা বেড়ে রেকর্ড ১১ কোটিতে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, ইউক্রেনে রাশিয়ার চলমান যুদ্ধ, আফগানিস্তান সংকট এবং সুদানের গৃহযুদ্ধের কারণে শরণার্থীর মোট সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়েছে। এদের অনেকে অভ্যন্তরীণভাবে নিজ দেশে বাস্তুচ্যুত। ইউএনএইচসিআরের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ বাস্তুহারা হয়েছে। নিজ দেশ ও ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন প্রায় এক কোটি ৯০ লাখ মানুষ। ২০২১ সালের তুলনায় এ সংখ্যা ১ কোটি ৯১ লাখ বেশি। ১৯৭৫ সালে রেকর্ড শুরু হওয়ার পর থেকে এটি সবচেয়ে বড় বাস্তুচ্যুতি বৃদ্ধির তথ্য। ইউক্রেন ও সুদান সংঘাতে লাখ লাখ উদ্বাস্তু নতুন করে যোগ হওয়ায় বিশ্বজুড়ে বাস্তুচ্যুতির সংখ্যা বেড়ে রেকর্ড ১১ কোটিতে পৌঁছেছে। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার প্রধান ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি। তিনি বলেন, মানুষের মধ্যে সহিংসতা বাড়ছে। এতে বাস্তুচ্যুতের সংখ্যা হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। লাখ লাখ মানুষ গৃহহীন হচ্ছে। ২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী মোট ৩৫.৩ মিলিয়ন মানুষ উদ্বাস্তু বিদেশে পালিয়ে গিয়েছিল। এছাড়া ৬২.৫ মিলিয়ন মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছিল। গ্র্যান্ডি বলেন, ‘আমার আশঙ্কা হলো, এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার উল্লেখ করেন, প্রায় ৭৬ শতাংশ শরণার্থী নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে পালিয়ে গেছে, যেখানে ৭০ শতাংশ প্রতিবেশী দেশে থেকে গেছে। যুদ্ধ, নিপীড়ন, বৈষম্য, সহিংসতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো কারণগুলোকে দায়ী করেছেন জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা। ইউএনএইচসিআরের হিসেব অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে মোট শরণার্থী এবং আন্তর্জাতিক সুরক্ষা প্রয়োজন এমন মানুষের প্রায় অর্ধেকই সিরিয়া, ইউক্রেন ও আফগানিস্তানের।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত