রাশিয়ার আক্রমণের শঙ্কায় সুইডেন

রাশিয়ার সামরিক আক্রমণের শিকার হতে পারে সুইডেন; এমন আশঙ্কা দেশটি নিজেই করছে। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য হতে চাওয়া এই দেশটির একটি সংসদীয় রিপোর্টে বলা হয়েছে, সুইডেনের বিরুদ্ধে রুশ সামরিক হামলার শঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না। মূলত রাশিয়ার হুমকি থেকে বাঁচতে ইউরোপীয় এই দেশটি ন্যাটোর সদস্য হতে ইচ্ছুক। গতকাল এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুইডেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ান সামরিক হামলার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না বলে সুইডিশ পার্লামেন্টের প্রতিরক্ষা কমিটির একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে। বেশ কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে গত রোববার এ তথ্য সামনে এনেছে সুইডেনের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম এসভিটি। রয়টার্স বলছে, সুইডেন তার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরো শক্তিশালী করার জন্য কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়েছে এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর গত বছর সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগদানের জন্য আবেদন করেছে। অবশ্য সুইডেনকে এই আবেদন করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হলেও তুরস্ক এবং হাঙ্গেরি এখনো আবেদনটি অনুমোদন করেনি। প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এসভিটি জানিয়েছে, ‘রাশিয়া তার সামরিক শক্তি ব্যবহারের জন্য তার সীমা আরো কমিয়েছে এবং উচ্চ রাজনৈতিক ও সামরিক ঝুঁকির আকাঙ্ক্ষা প্রদর্শন করেছে। সুইডেনের বিরুদ্ধে বিমান বাহিনী, নৌবাহিনী, দূরপাল্লার অস্ত্র বা পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করে সামরিক অভিযান চালানোর বিষয়ে রাশিয়ার যে ক্ষমতা রয়েছে, তা অক্ষত আছে।’ অবশ্য এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সুইডেনের পার্লামেন্টের প্রতিরক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেননি। বার্তাসংস্থাটি বলছে, সুইডিশ পার্লামেন্টের প্রতিরক্ষা কমিটির ওই রিপোর্টটি গতকাল প্রকাশের কথা রয়েছে। সংসদীয় ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ান সেনাবাহিনীর স্থল ইউনিট ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যস্ত থাকলেও সুইডেনের বিরুদ্ধে (রাশিয়ার পক্ষ থেকে) অন্য ধরনের সামরিক হামলার বিষয়টি উড়িয়ে দেয়া যায় না। এসভিটি বলেছে, সংসদীয় ওই রিপোর্টে সুইডেনের জন্য একটি নতুন প্রতিরক্ষা মতবাদের রূপরেখা দেয়া হয়েছে।