মেক্সিকোর গভীর জঙ্গলে নতুন সভ্যতার আবিষ্কার

প্রকাশ : ২৭ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

মেক্সিকোর গভীর জঙ্গলে বহু প্রাচীন এক শহরের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পাওয়া গেছে। শহরটিতে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে পিরামিডের মতো ভবন ও পাথরের স্তম্ভসহ আরো অনেক স্থাপনা। গবেষকদের দাবি, এটি প্রাচীন মায়া সভ্যতার একটি শহর। হাজার বছরের বেশি সময় ধরে এ শহর মায়া জনগোষ্ঠীর গুরুত্বপূর্ণ একটি কেন্দ্র ছিল। বিবিসির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মেক্সিকোর কামপেচে প্রদেশের ‘বালামকু’ সংরক্ষিত বনাঞ্চলে শহরটির সন্ধান পেয়েছে মেক্সিকোর জাতীয় নৃবিজ্ঞান ও ইতিহাস ইনস্টিটিউটের প্রত্নতাত্ত্বিকদের একটি দল। তারা শহরটির নাম দিয়েছেন ‘ওকুমতান’। মায়া ভাষায় এর অর্থ দাঁড়ায় পাথরের স্তম্ভ। গত মঙ্গলবার নৃবিজ্ঞান ও ইতিহাস ইনস্টিটিউট জানায়, ৫০ হেক্টরের বেশি এলাকাজুড়ে এ শহরের ব্যাপ্তি। সেখানে ২৫০ থেকে ১ হাজার খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত মায়া জনগোষ্ঠীর বাসিন্দারা বসবাস করতেন।

প্রত্নতাত্ত্বিকদের দলটির নেতৃত্বে ছিলেন ইভান স্প্রাজক। ঘন জঙ্গলের ভেতর দিয়ে প্রায় ৬০ কিলোমিটার হাঁটার পর শহরটি নজরে আসে তাদের। ইভান বলেন, সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো, শহরটি একটি উপদ্বীপের ওপর উঁচু ভূমিতে অবস্থিত। এর চারপাশে রয়েছে জলাভূমি। শহরটিতে বেশ কয়েকটি বড় ভবন রয়েছে। এছাড়া ১৫ মিটারের বেশি উঁচু কয়েকটি পিরামিড আকৃতির স্থাপনা রয়েছে। শহরটি থেকে মৃৎশিল্পের কয়েকটি নিদর্শনও পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ইভান। তাছাড়া কয়েকটি গর্তের সন্ধান মিলেছে, যেগুলো ৬০০ থেকে ৮০০ খ্রিষ্টাব্দের বলে পরীক্ষায় উঠে এসেছে। ইভানের ভাষ্যমতে, শহরটিতে পাওয়া নমুনাগুলো আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হলে বিস্তারিত ইতিহাস ও চমকপ্রদ সব তথ্য পাওয়া যাবে। প্রাচীনকালে উত্তর ও লাতিন আমেরিকায় সবচেয়ে এগিয়ে ছিল মায়া সভ্যতা। এ সভ্যতা গড়ে উঠেছিল বর্তমান মেক্সিকোর দক্ষিণাঞ্চল ও মধ্য আমেরিকার উত্তরাঞ্চলে। অঞ্চলটি প্রায় যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের সমান। এসব অঞ্চলের গভীর জঙ্গলে প্রায়ই মায়া সভ্যতার ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পাওয়া যায়। এদিকে, মেক্সিকোর নৃবিজ্ঞান ও ইতিহাস ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, তারা লারিগুয়েনা নদী পর্যন্ত একই ধরনের আরো কিছু স্থাপনার সন্ধান পেয়েছে।