‘এল নিনো’ তাণ্ডব চালাবে ২ বছর : ডব্লিউএইচও

প্রকাশ : ২৮ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

ফিরে এসেছে ‘এল নিনো’। এরই মধ্যে এটি জলবায়ুর ওপর প্রভাব খাটাচ্ছে। ডেকে আনছে বৃষ্টি-অতিবৃষ্টি-খরা, তছনছ করে দিচ্ছে আবহাওয়া পরিস্থিতি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, এল নিনোকে নিয়েই ভয় ছিল। ২০২৩ ও ২০২৪ সাল জুড়েই বিশ্বে ভাইরাসঘটিত কিছু অসুখ করবে। এল নিনো হলো সমুদ্রের পানির উষ্ণ স্রোত। প্রশান্ত মহাসাগরে দুই রকমের আবহাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়। একটি হলো, লা নিনা যার জেরে তাপমাত্রা কমে, আর আরেকটি হলো এল নিনো যা ভয়ঙ্কর। এল নিনো হলে উষ্ণতম সামুদ্রিক জলস্রোত বা সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতা বাড়িয়ে দেয়। চিলি, পেরুসহ দক্ষিণ আমেরিকার প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব উপকূলবর্তী দেশগুলোতে এল নিনোর প্রভাব দেখা যায় প্রায় ২ থেকে ৭ বছর অন্তর। ওই সময় মহাসাগরের পৃষ্ঠের (সি সারফেস) পানি দ্রুত হারে অসম্ভব গরম হয়ে যায়। কারণ, ওই সময় প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম প্রান্ত থেকে গরম পানির স্রোত ধেয়ে আসে মহাসাগরের পূর্ব দিকে। এল নিনোর উষ্ণ পানির স্রোত যখন পূর্ব উপকূলের ঠান্ডা পানিকেও উষ্ণ করে তোলে তখন মহাসাগর সংলগ্ন স্থলভাগের বিভিন্ন দেশের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, এল নিনোর প্রভাবে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে অতিবৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে প্রশান্ত মহাসাগরে ঘনাচ্ছে সাইক্লোন। অস্ট্রেলিয়ায় আবার ভয়ংক খরা দেখা দিয়েছে। জলবায়ুর এই নানা বদলের কারণে ভাইরাসদের উপদ্রব বাড়ছে। এশিয়ার দেশগুলোতে মশাবাহিত রোগ অনেক বাড়বে বলে সতর্ক করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রস আধানম ঘেব্রেয়াসুস। তিনি বলেন, বৃষ্টি ও অতিবৃষ্টির কারণে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়া, জিকা ভাইরাসের প্রকোপ বাড়বে। পেরুতে ডেঙ্গুর প্রভাব মারাত্মকভাবে বেড়েছে। ডেঙ্গুর ডেনভি ভাইরাসও চরিত্র বদল করছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। স্ত্রী এডিস ইজিপ্টাই মশা এই ভাইরাসের বাহক। এরা আবার ইয়েলো ফিভার ভাইরাস, জিকা ও চিকুনগুনিয়া ভাইরাসেরও বাহক। চিকুনগুনিয়া ঠেকাতে ইতোমধ্যেই ভ্যাকসিন তৈরি করেছেন ফ্রান্সের বিজ্ঞানী। সেই ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে। জিকাও মশাবাহিত রোগ। এক্ষেত্রেও দায়ী এডিস মশা। ভাইরাস মশার কামড় থেকে শরীরে ঢুকে রোগ ছড়ায়। জিকার উপসর্গও অনেকটা একই রকম, তবে এই ভাইরাস শরীরের স্নায়ুতন্ত্র বা নার্ভাস সিস্টেমকে বড়সড় আঘাত করে। অন্তঃসত্ত্বা ও ছোট বাচ্চাদের এই ভাইরাস সংক্রমণে জটিল অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। জিকা নিয়েও সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।