নিউইয়র্কে গৃহহীন লক্ষাধিক মানুষ, নেই খাবারও

প্রকাশ : ০২ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

নিউইয়র্কে গৃহহীন লক্ষাধিক মানুষ, নেই খাবারও আশ্রয়ের খোঁজে হন্য হয়ে ঘুরছেন বহু মানুষ। তাদের সঙ্গে রয়েছে বহু শিশুও। পরিবারের সঙ্গে পথেঘাটে না খেয়ে, না ঘুমিয়ে দিনযাপন করছে তারাও। এই দৃশ্য কোনো আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা দেশের নয়। অর্থ, বৈভব, প্রযুক্তি সবদিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। নিউইয়র্ক টাইমসের খবওে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরেই গৃহহীনের সংখ্যা ছাড়িয়েছে এক লাখ। ক্রমেই বেড়ে চলছে শরণার্থীর সংখ্যা। সকলেই মাথা গোজার ঠাঁই ও দু’মুঠো খাবারের আশায় ভিড় করছেন এই শহরে। যেখানে বৈভব ও প্রাচুর্যের কোনো অভাব নেই। সেই দেশই আশ্রয়হীনদের আশ্রয় দিতে ব্যর্থ। গৃহহীনদের জন্য তৈরি শিবিরেও জায়গা নেই।

খবরে বলা হয়েছে, ২০২২ সাল থেকে প্রচুর সংখ্যায় মানুষ নিউইয়র্কে এসেছেন। এরই মধ্যে একশো কোটি ডলারেরও বেশি অর্থ খরচ করে ফেলেছে শহরের প্রশাসন। অনুমান করা হচ্ছে আগামী বছরের মধ্যে আরো প্রায় ৪০০ কোটি ডলার খরচ হবে। ২০২২ সালের মার্চ ও নভেম্বর মাসের মধ্যে যতজন মানুষ এসেছেন, তাদের মধ্যে মাত্র তিনজন স্থায়ী বাসস্থান পেয়েছেন। ৯৫ শতাংশ মানুষ এখনো আশ্রয়হীন।

নিউইয়র্কের মতোই অবস্থা লস অ্যাঞ্জেলসেরও। সেখানকার পরিসংখ্যানও যথেষ্ট উদ্বেগের। এই শরণার্থী কিংবা গৃহহীনদের ভবিষ্যৎ এখন বড় প্রশ্নের মুখে। ভবিষ্যৎ অন্ধকার আশ্রয়ের খোঁজে আসা হাজার হাজার শিশুরও। কিন্তু এই পরিস্থিতি কত দিন চলবে তার কোনো উত্তর নেই প্রশাসনের কাছে। মার্কিন সরকার কার্যত হিমশিম খাচ্ছে শরণার্থীদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে। সমালোচকরা বলছেন, এই সরকারই কোটি কোটি টাকা খরচ করছে অন্য দেশকে যুদ্ধে সাহায্য করতে।

নিউইয়র্কের ডেপুটি মেয়র অ্যান উইলিয়ামস ইসম সংকটের বিষয়ে হতাশ। তিনি বলেন, যদি এ বিষয়ে জাতীয় সমন্বয় থাকত, তাহলে নিউইয়র্ক সিটির ওপর বোঝা এতটা বেশি হত না।’ তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা এখনও এই তরঙ্গের মধ্যে আছি। অবস্থা আরো প্রকট হতে যাচ্ছে। আমার হৃদয় ভেঙে যায়, যখন দেখি বাচ্চারা আগমন কেন্দ্রে আসছে, সেখানে বসে আছে এবং ক্লান্ত হয়ে ভাবছে ও আশা করছে যে আমাদের কাছে তাদের জন্য যথেষ্ট জায়গা আছে।’